পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ 8O রবীন্দ্র-রচনাবলী সামঞ্জস্যস্থাপন করিতেছেন, আমি তাহা মনে করি না। আমি জানি, অনাদিকাল হইতে বিচিত্র বিস্মৃত। অবস্থার মধ্য দিয়া তিনি আমাকে আমার এই বর্তমান প্রকাশের মধ্যে উপনীত করিয়াছেন- সেই বিশ্বের মধ্য দিয়া প্রবাহিত অস্তিত্বধারার বৃহৎ স্মৃতি র্তাহাকে অবলম্বন করিয়া আমার অগােচরে আমার মধ্যে রহিয়াছে। সেইজন্য এই জগতের তরুলতা-পশুপক্ষীর সঙ্গে এমন একটা পুরাতন ঐক্য অনুভব করিতে পারি, সেইজন্য এতবড়ো রহস্যময় প্রকাণ্ড জগৎকে অনান্তীয় ও ভীষণ বলিয়া মনে হয় না। আজ মনে হয় সকলোরি মাঝে তোমারেই ভালোবেসেছি ; শুধু তুমি আমি এসেছি। চেয়ে চারি দিক পানে কী যে জেগে ওঠে। প্ৰাণে যেন গো সকলেখানে । কত যুগ এই আকাশে যাপনু সে কথা অনেক ভুলেছি, তারায় তারায় যে আলো কঁপিছে সে আলোকে দোহে দুলেছি। তৃণরোমাঞ্চ ধরণীর পানে আশ্বিনে নব আলোকে চেয়ে দেখি যাবে আপনার মনে প্ৰাণ ভরি উঠে পুলকে । মনে হয় যেন জানি এই অকথিত বাণীমূক মেদিনীর মর্মের মাঝে জাগিছে যে ভাবখানি । এই প্ৰাণে-ভরা মাটির ভিতরে কত যুগ মোরা যেপেছি, কত শরতের সোনার আলোকে কত তৃণে দোহে কেঁপেছি।-- লক্ষ বরষ আগে যে প্ৰভাত উঠেছিল এই ভুবনে তাহার অরুণকিরণকণিকা গাথনি কি মোর জীবনে ? সে প্রভাতে কোনখানে