পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कवि-कांड्रेि-ी সমস্ত জগৎ যাবে আছিল বালক, দুরন্ত শিশুর মতো অনন্ত আকাশে এ দৃঢ় বন্ধন যদি ছিড়ে একবার, সে কি ভয়ানক কাণ্ড বাধে এ জগতে, কক্ষচ্ছিন্ন কোটি কোটি সূর্য চন্দ্র অরা অনন্ত আকাশময় বেড়ায় মাতিয়া, মণ্ডলে মণ্ডলে ঠেকি লক্ষ সূৰ্য গ্ৰহ চূৰ্ণ চুৰ্ণ হােয়ে পড়ে হেথায় হোথায় ; এ মহান জগতের ভগ্ন অবশেষ চুৰ্ণ নক্ষত্রের ভূপ, খণ্ড খণ্ড গ্ৰহ বিশখািল হেয়ে রহে অনন্ত আকাশে ! অনন্ত আকাশ আর অনন্ত সময়, যা ভাবিতে পৃথিবীর কীট মানুষের তাহাই তোমার দেবি সাধের আবাস । তোমার মুখের পানে চাহিতে হে দেবি ক্ষুদ্র মানবের এই স্পন্ধিত জ্ঞানের দুর্বল নয়ন যায় নিমীলিত হয়ে । হে জননি আমার এ হািদয়ের মাঝে অনন্ত-অতৃপ্তি-তৃষ্ণা জ্বলিছে সদাই, তাই দেবি পৃথিবীর পরিমিত কিছু পারে না গো জুড়াইতে হৃদয় আমার, তাই ভাবিয়াছি আমি হে মহাপ্ৰকৃতি, মজিয়া তোমার সাথে অনন্ত প্ৰণয়ে জুড়াইব হৃদয়ের অনন্ত পিপাসা ! প্ৰকৃতি জননি ওগো, তোমার স্বরাপ যত দূর জানিবারে ক্ষুদ্র মানবেরে দিয়াছ গো অধিকার সদয় হইয়া, তত দূর জানিবারে জীবন আমার করেছি। ক্ষেপণ আর করিব ক্ষেপণ । ভ্ৰমিতেছি পৃথিবীর কাননে কাননে— বিহঙ্গও যত দূর পারে না উড়িতে সে পর্বতশিখরেও গিয়াছি, একাকী ; দিবও পাশে নি দেবি যে গিরিগহবরে, সেখানে নির্তয়ে আমি করেছি। প্ৰবেশ । যখন কাটিকা কথা প্ৰচণ্ড সংগ্রামে অটল পর্বতচূড়া করেছে কম্পিত, সুগভীর অসুনিধি উন্মাদের মতো 8 NRA