পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি-কাহিনী তোমারি চরণতলে দিব উপহার !” এইরূপে সুনিস্তব্ধ নিশীথ-গগনে প্ৰকৃতি-বন্দনা-গান গাইত সে কবি । দ্বিতীয় সৰ্গ “এত কাল হে প্ৰকৃতি করিনু তোমার সেবা, তবু কেন এ হৃদয় পুরিল না দেবি ? এখনো বুকের মাঝে রয়েছে দারুণ শূন্য, সে শূন্য কি এ জনমে পূরিবে না। আর ? শুধু এ আঁধার গৃহ রয়েছে পড়িয়া কত দিন বল দেবি রহিবে এমন শূন্য, তা হলে ভাঙিয়ে যাবে। এ মনোমন্দির ! পূর্ব হৃদয়ের আছে ভগ্ন-অবশেষ, সেই ভগ্না-অবশেষে- সুখের সমাধি’পরে বসিয়া দারুণ দুখে কাদিতে কি হবে ? মনের অন্তর-তলে কী যে কী করিছে হুহু কী যেন আপনি ধন নাইক সেখানে, সে শূন্য পুরাতে দেবি ঘুরেছি। পৃথিবীময় মরুভুমে তৃষাতুর মৃগের মতন । কত ঘুরিয়াছি তার পশ্চাতে পশ্চাতে, অবশেষে শ্ৰান্ত হয়ে তোমারে শুধাই দেবি এ শূন্য পূরিবে না কি কিছুতে আমার ? উঠিছে তপন শশী, অস্ত যাইতেছে পুনঃ, বসন্ত শরত শীত চক্রে ফিরিতেছে ; প্ৰতি পদক্ষেপে আমি বাল্যকাল হতে দেবি ক্রমে ক্রমে কত দূর যেতেছি চলিয়াবাল্যকাল গেছে চলে, এসেছে যেীবন এবে, যৌবন যাইবে চলি আসিবে বাধক্যতবু এ মনের শূন্য কিছুতে কি পূরিবে না ? মন কি করিবে হুহু চিরকাল তরে ? শুনিয়াছিলাম কোন উদাসী যোগীর কাছে“মানুষের মন চায় মানুষেরি মন ; গভীর সে নিশীথিনী, সুন্দর সে উষাকাল, বিষয় সে সায়াহ্নের মান মুখচ্ছবি, 8 SS