পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BNo.8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী কবির অশ্রনীর সাথে মিশিল কেমনস্কন্ধে তার রাখি মাথা কহিল কম্পিত গারে, “আমিও এতোমারে কবি বাসি না কি ভালো ?” কথা না। স্ফুরিল আর, শুধু অশ্রািজলরাশি আরক্ত কপোল তার করিল প্লাবিত । qMLBB BLBDL BDS i DBqLLLYD HBBLLLLLLL নীরবে গাইত। তারা প্ৰণয়ের গীত । অরণ্যে দুজনে মিলি আছিল এমন সুখে জগতে তারাই যেন আছিল দুজনযেন তারা সুকোমল ফুলের সুরভি শুধু, যেন তারা অবসরার সুখের সংগীত । আললিত চুলগুলি সাজাইয়া বনফুলে একথা ওকথা জলয়ে কি যে কি কহিত বালা কবি ছাড়া আর কেহ বুঝিতে নারিত । কীভূ বা মুখের পানে সে যে কি রহিত চেয়ে, ঘুমায়ে পডিত যেন হৃদয় কবির। । কীভূ বা কি কথা লয়ে সে যে কি হাসিত হাসি, তেমন সরল হাসি দেখে নি কেহই । আঁসাধারা আমার রাত্রে একাকী পর্বতশিরে সেও গো কবির সাথে রহিত দাড়ায়ে, উনমত্ত কড়ি বৃষ্টি বিদ্যুৎ অশনি আর পর্বতের বুকে যবে বেড়াত মাতিয়া, তাহারো হত্যুদয় যেন নদীর তরঙ্গ-সাথে করিত গো মাতামাতি হেরি সে বিপ্লবকরিত সে ছুটিাছুটি, কিছুতে সে ডরিত না, . এমন দুরন্ত মেয়ে দেখি নি তো আর ! কবি যা কহিত কথা শুনিত কেমন ধীরে, কেমন মুখের পানে রহিত চাহিয়া । বনদেবতার মতো এমন সে এলোথোলো, কখনো দুরন্ত অতি ঝটিকা যেমন, কখনো এমন শান্ত প্ৰভাতের বায়ু যথা নীরবে শুনে গো যাবে পাখির সংগীত । কিন্তু, কলপনা, যদি কবির হৃদয় দেখা দেখিবে এখনো তাহা পূৰ্ণ হয় নাই । এখনো কহিছে কবি, “আরো দাও ভালোবাসা, আরো ঢালো” ভালোবাসা হৃদয়ে আমার ।” প্রেমের অমৃতধারা এত যে করেছে পান, তবু মিটিল না কোন প্ৰণয়পিপাসা ? - প্রেমের জোছনাধারা যত ছিল ঢালি বালা ।