পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कवि-कटिी দেহকারাগারমুক্ত সে নলিনী এবে সুখে দুখে চিরকাল সম্পদে বিপদে আমারই সাথে সাথে করিছে ভ্ৰমণ । চিরহাস্যময় তার প্ৰেমদৃষ্টি মেলি আমারি মুখের পানে রয়েছে চাহিয়া । রক্ষক দেবতা সম আমারি উপরে - প্ৰশান্ত প্ৰেমের ছায়া রেখেছে। বিছায়ে । দেহকারাগারমুক্ত হইলে আমিও তাহার হাদয়সাথে মিশাবি হৃদয় । নলিনী, আছ কি তুমি, আছ কি হেথায় ? একবার দেখা দেও, মিটাও সন্দেহ ! চিরকাল তরে তোরে ভুলিতে কি হবে ? তাই বল নলিনী লো, বল একবার ! চিরকাল আর তোরে পাব না দেখিতে, চিরকাল আর তোর হািদয়ে হাদয় পাব না কি মিশাইতে, বল একবার । মরিলে কি পৃথিবীর সব যায় দূরে ? তুই কি আমারে ভুলে গেছিস নলিনি ? डा श्वत नविननि. उठाभिी फाईट न्पा भट्विटड । তোর ভালোবাসা যেন চিরকাল মোর হৃদয়ে অক্ষয় হয়ে থাকে পো মুদ্ৰিতকষ্ট পাই পাব, তবু চাই না ভুলিতে ! তুমি নাহি থাকি যদি তোমার স্মৃতিও থাকে যেন এ হািদয়া করিয়া উজ্বল ! এই ভালোবাসা যাহা হািদয়ে মরমে অবশিষ্ট রাখে নাই এক তিল স্থান, একটি পার্থিব ক্ষুদ্র নিশ্বাসের সাথে মুহুর্তে হবে কি তাহা আনন্তে বিলীন ? যত কাল বেঁচে রব, রবে যা হৃদয়ে মুহুর্তে না পালটিতে আঁখির পলক ক্ষণস্থায়ী কুসুমের সুরভের মতো শুন্য এই রায়ুস্রোতে যাইবে মিশায়ে ? হিমাদ্রির এই স্তৱন্ধ তীমাধার গহবরে সময়ে পদক্ষেপ গনিতেছি বসি, ভবিষ্যৎ ক্রমে হইতেছে বর্তমান, বর্তমান মিশিতেছে অতীতসমুদ্রে । অন্ত যাইতেছে নিশি, আসিছে দিবস, দিবস নিশার কোলে পড়িছে ঘুমায়ে । এই সময়ের চক্ৰ ঘুরিয়া নীরবে: পৃথিবীরে মানুষেরে অলক্ষিতভাবে পরিবর্তনের পথে যেতেছে লইয়া, 886