পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दन्न-यूढ পৃথিবী হাসিয়া যে লো উঠিবে এখনি! কলঙ্ক রমণী নামে রাটিবে তা হলে ? ও কথা শুধাতে আছে? ও কথা ভাবিতে আছে! ও-সব কি স্থান দিতে আছে মনে মনে ? বিজয় তোমার স্বামী বিজয়ের পত্নী তুমি

  • K(# ! G <5Qỉ \5(< <38ỉG (KöNG ?

তবুও শুধাও যদি দিব না। উত্তর।!-- হৃদয়ে যা লিখা আছে দেখাবো না কারো কাছে, হৃদয়ে লুকান রবে আমরণ কাল! রুদ্ধ অগ্নিরাশিসম দহিবে হৃদয় মম। ছিড়িয়া খুঁড়িয়া যাবে হৃদিগ্রন্থিজাল। যদি ইচ্ছা হয় তবে লীলা সমাপিয়া ভাবে শোণিতধারায় তাহা করিব নির্বাণ। নহে অগ্নিশৈলসম জ্বলিবে হৃদয় মম যত দিন দেহমাঝে রহিবেক প্ৰাণ! যে তোমারে বন হতে এনেছে উদ্ধারি যাহারে করেছ তুমি পাণি সমর্পণ প্ৰণয় প্রার্থনা তুমি করিয়ো তাহারি তারে দিয়ো যাহা তুমি বলিবে আপন! চাই না বাসিতে ভালো, ভালোবাসিব না। দেবতার কাছে এই করিব প্রার্থনা বিবাহ করেছ যারে সুখে থাকি লয়ে তারে বিধাতা মিটােন তব সুখের কামনা!” “বিবাহ কাহারে বলে জানি না তা আমি” কহিল কমলা। তবে বিপিনকামিনী, “কারে বলে পত্নী আর কারে বলে স্বামী, কারে বলে ভালোবাসা আজিও শিখি নি। এইটুকু জানি শুধু এইটুকু জানি, দেখিবারে আঁখি মোর ভালোবাসে যারে শুনিতে বাসি গো ভালো যার সুধাবাণীশুনিব তাহার কথা দেখিব তাহারে! ইহাতে পৃথিবী যদি কলঙ্ক রটায় ইহাতে হাসিয়া যদি উঠে সব ধরা বলো গো নীরদ আমি কী করিব তার ? রটায়ে কলঙ্ক তবে হাসুক না তারা। 8try