পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন-ফুল 8&S আমিও গাে আভরণ ভূষণ ফেলিয়া যোগিনী তোমার সাথে যাইব চলিয়া । যোগিনী হইয়া আমি জন্মেছি। যখন যোগিনী হইয়া প্ৰাণ করিব বহন । কাজ কি এ মণি মুক্তা রািজত কাঞ্চনপরিব বাকলাবাস ফুলের ভূষণ । নীরদ ! তোমার পদে লইনু শরণলয়ে যাও যেথা তুমি করিবে গমন ! নতুবা যমুনাজলে এখনই অবহেলে ত্যজিব বিষাদদগ্ধ নারীর জীবন !” পড়িল ভূতলে কেন নীরদ সহসা ? শোণিতে মৃত্তিকাতল হইল রঞ্জিত ? কমলা চমকি দেখে সভায়ে বিবশ দারুণ ছুরিকা পৃষ্ঠে হয়েছে নিহিত ! কমলা সািভয়ে শোকে করিল চিৎকার । রক্তমাখা হাতে ওই চলিছে বিজয় ? নয়নে তঁমাচল চাপি কমলা আবার সািভয়ে মুদিয়া আঁখি স্থির হয়ে রায় । ছুটিয়া চলিল বালা যমুনার জলে যমুনা-শীতল জলে ভিজায়ে আঁচলে । যুবকের ক্ষত স্থানে বাধিয়া আঁচল কমলা একেলা বসি রহিল তথায় এক বিন্দু পড়িল না নয়নের জল, এক বারো বহিল না। দীর্ঘশ্বাস-বায় । তুলি নিল যুবকের মাথা কোল—”পরে একদৃষ্ট্রে মুখপানে রহিল চাহিয়া । নিজীব প্ৰতিমা-প্ৰায় না নড়ে না চড়ে, কেবল নিশ্বাস মাত্র যেতেছে বহিয়া । “ যে ছুরিতে ছিড়িয়াছে জীবনবন্ধন অধিক সুতীক্ষ ছুরি তাহা অপেক্ষায় আগে হতে প্ৰেমরজজু করেছে ছেদন ।