পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন-ফুল । “জ্বলন্ত জগৎ ! ওগো চন্দ্ৰ সূৰ্য তারা ! দেখিতেছি চিরকাল পৃথিবীর নরে 1 পৃথিবীর পাপ পুণ্য, হিংসা, রক্তধারা তোমরাই লিখে রাখ জ্বলদ, অক্ষরে ! সাক্ষী হও তোমরা গো করিও বিচার - তোমরা হও গো সাক্ষী পৃথ্বী চরাচর ! ব'হে যাও !- ব'হে যাও যমুনার ধার, নিষ্ঠর কাহিনী কহি সবার গোচর ! এখনই অস্তাচলে যে ও না তপন । ফিরে এসো, ফিরে এসো তুমি দিনকার ! এই, এই রক্তধারা করিয়া শোষণ লয়ে যাও, লয়ে যাও স্বগের গোচর ! ধুস নে যমুনাজল ! শোণিতের ধারে •! বকুল তোমার ছায়া লিও গো সরিয়ে ! গোপন করো না। উহা নিশীথ ! ভীমাধারে ! জগৎ ! দেখিয়া লিও নয়ন ভরিয়ে ! অবাক হউক পৃথ্বী সািভয়ে, বিস্ময়ে ! অবাক হইয়া যাক আঁধার নরক । পিশাচেরা লোমাঞ্চিত হউক সািভয়ে ! প্ৰকৃতি মুদুক ভয়ে নয়নপালক”! রক্তে লিপ্ত হয়ে যাক বিজয়ের মন ! বিস্মৃতি ! তোমার ছায়ে রেখো না বিজয়ে ; শুকালেও হ্যাদিরক্ত এ রক্ত যেমন চিরকাল লিপ্ত থাকে পাষাণ হৃদয়ে ! বিষাদ ! বিলাসে তার মাখি হলাহল ধরিও সমুখে তার নরকের বিষ ! বিষবৃক্ষবীজ তার হৃদয়ে রোপিস ! দূর হ—দূর হ তোরা ভূষণ রতন ! আজিকে কমলা যে রে হয়েছে বিধবা ! আবার কবরি ! তোরে করিনু মোচন ! আজিকে কমলা যে রে হয়েছে বিধবা ! 8SV)