পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gł OO রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বনের পাদপপত্র আজিও মানবনেত্র হিংসার অনলাময় করে নি লোকন ! কুসুম লইয়া লতা প্ৰণত করিয়া মাথা মানবোরে উপহার দেয় নি কখন ! বনের হরিণগণে মানবের শরাসনে ছুটে ছুটে ভ্ৰমে নাই তারাসে তরাসে ! কলঙ্কিত নাহি হয়ে মানবনিশ্বাসে । কমলা বসিয়া আছে। উদাসিনী বেশে শৈলীতটিনীর তীরে এলোথোলো কেশে অধরে সঁপিয়া কর, অশ্রু বিন্দু ঝর ঝর ঝরিছে কপোলদেশে— মুছিছে তঁমাচলে । “তটিনী বহিয়া যাও আপনার মনে । কিন্তু সেই ছেলেবেলা যেমন করিতে খেলা তেমনি করিয়ে খেলো নিবারের সনে ! তখন যেমন স্বরে কল কল গান করে মৃদু বেগে তীরে আসি পড়িতে লো ঝাপি বালিকা ক্রীড়ার ছলে পাথর ফেলিয়া জলে মারিতাম।-- জলরাশি উঠিত লো বঁকাপি তেমনি খেলিয়ে চল তুই লো তটিনীজল ! তেমনি বিতরি সুখ নয়নে আমার । পড়া লো উগরি শুভ্ৰ ফেনরাশিভার ! মুছিতে লো অশ্রাবারি এয়েছি হেথায় । তাই বলি পাপিয়ারে ! গান করা সুধাধারে নিবাইয়া হািদয়ের অনলশিখায় ! ছেলেবেলাকার মতো বায়ু তুই অবিরত লতার কুসুমরাশি করা লো কম্পিত ! নদী চল দুলে দুলে ! পুষ্প দে হৃদয় খুলে ! নিকাির সরসীবক্ষ কর বিচলিত ! সেদিন আসিবে আর হ্যাদি।মাঝে যাতনার প্ৰভাতে অরুণোদয়ে উঠিব শিখর !