পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? OR রবীন্দ্র-রচনাবলী কাননে পশিগে তবে শুষ্ক যেথা সুধারবে গান করে জাগাইয়া নীরব কানন । উচু করি করি মাথা হরিণের বৃক্ষপাতা সুধীরে নিঃশঙ্কমনে করিছে চর্বণ !” সুন্দরী এতেক বলি পশিল কাননস্থলী, পাদপ রৌদ্রের তাপ করিছে বারণ। বৃক্ষচ্ছায়ে তলে তলে ধীরে ধীরে নদী চলে সলিলে বৃক্ষের মূল করি প্রক্ষালন । হরিণ নিঃশঙ্কমনে শুয়ে ছিল ছায়াবনে, পদশব্দ পেয়ে তারা চমকিয়া উঠে। বিস্তারি নয়নদ্বয় মুখপানে চাহি রয়, সহসা সভয় প্ৰাণে বনান্তরে ছুটে । ছুটিছে হরিণচয়, কমলা অবাক রায় নেত্ৰহতে ধীরে ধীরে ঝরে অশ্রািজল । ওই যায়- ওই যায় হরিণ হরিণী হায়যায় যায় ছুটে ছুটে মিলি দলে দল । কমলা বিষাদভরে কহিল সমুচ্চস্বরে প্ৰতিধ্বনি বন হতে ছুটে বানান্তরে “যাস নে— যাস নে তোরা, আয় ফিরে আয় ! কমলা- কমলা সেই ডাকিতেছে তোরে ! সেই যে কমলা সেই থাকিত কুটীরে, সেই যে কমলা সেই বেড়াইত বনে ! সেই যে কমলা পাতা ছিড়ি ধীরে ধীরে হরষে তুলিয়া দিত তোদের আননে ! কোথা যাস- কোথা যাস- আয় ফিরে আয় ! ডাকিছে তোদের আজি সেই সে কমলা ! কারে ভয় করি তোরা যাস রে কোথায় ? আয় হেথা দীর্ঘশূঙ্গ ! আয় লো চপলা ! এলি নে- এলি নে তোরা এখনো এলি নে কমলা ডাকিছে যে রে, তবুও এলি নে ! ভুলিয়া গেছিস তোরা আজি কমলারে ? ভুলিয়া গেছিস তোরা আজি বালিকারে ?