পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GVO SR অনিল । झदेोक्ष-झाक्रन्पादकैनो জোছনা ও যামিনীতে প্ৰণয় যেমন তেমনি মিলিয়া তারা রয়েছে দুজন । সুখের মুখেতে থাকে দুখের কালিমা, দুখের হৃদয়ে জাগে সুখের প্রতিমা । একা যাবে বসে থাকি স্তৱন্ধ জোছনায়, বহে বাতায়ন-পানে নিশীথের বায়, বড়ো সাধ যায় মনে যারে ভালোবাসি একবার মুহূর্ত সে বসে কাছে আসি, দুটি শুধু কথা কহে- একটু আদর মরিয়া যাই গো তারি বুকের উপর । যখনি কবিরে দেখি সব যাই ভুলে, কিছুই চাহি না আর— কিছুই ভাবি না। আরশুধু সেই মুখে চাই দুটি আঁখি তুলে । দেখি দেখি— কী যে দেখি, কী বলিব কী সে ! হৃদয় গলিয়া যায় জোছনায় মিশে । জোছনার মতো সেই বিগলিত হিয়া প্ৰাণের ভিতরে ধরি একেবারে মগ্ন করি কবিরে চৌদিকে যেন থাকে আবরিয়া । মনে মনে মন যেন কাদিয়া দু-করে কবির চরণ দুটি জড়াইয়া ধরে, আঁখি মুদি “কবি ! কবি !” বলে শতবারশতবার বেঁকাদে বলে “আমার ! আমার !” “আমার আমার” যেন বলিতে বলিতে চাহে মন একেবারে জীবন ত্যজিতে ! সুখেতে কি দুখে যেন ফেটে যায় বুকসুখ বলে দুখ আমি, দুখ বলে সুখ । কোথা কবি, কোথা আমি ! সে যে গো দেবতাতারে কি কহিতে পারি। প্ৰণয়ের কথা ? কবি যদি ভুলে কীভূ মোরে ভালোবাসে তা হলে যে মরে যাব সংকোচে উল্লাসে । চাই না চাই না। আমি প্ৰণয় তাহার, যাহা পাই তাই ভালো স্নেহ-সুধাধার । শুকতারা মেহমাখা করুণ নয়নে চেয়ে থাকে অস্তমান যামিনীর পানে, তেমনি চাহেন যদি কবি স্নেহভরে মুরলার ক্ষুদ্র এই হৃদয়ের পরে তাহা হলে নয়নের সামনে তাহার হাসিয়ে ফুরায়ে যাবে জীবন আমার । স্বার্থপর, আপনারি ভাবভরে ভোর, আজিও সে দেখিল না হাদয়টি তোর ?