পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনিল । ভগ্নহৃদয় কহেছে তো কথা প্ৰমোদের সাথে, অশোক নীরদ-সনে ! গেল যে হৃদয়- কতদিন আর রাবে সে এমন করি কখনো উঠিয়া আকাশের পরে কখনো পাতালে পড়ি ! [দূর হইতে দেখিয়া] না জানি কিসের জ্যোতি নয়নে আছে গো বালা ! যে দিকে চাহিয়া দেখ সে দিক করিছ। আলা । অন্ধকারভেদী এক হাসিময় তারা-সম প্ৰাণের ভিতর-পানে চাহিয়া মম ! ফিরায়ে লইনু মুখ, তবুও কেন গো দেখি চাহিছে হৃদয়-পানে দুটি হাসিমাখা আঁখি ! আঁখি মুদি, তবু কেন হেরি গো প্ৰাণের কাছে দুটি আঁখি চেয়ে আছে এক দৃষ্টে চেয়ে আছে! হেথা না পাইবি ঠাই— দূর হ তুই রে তারা— চন্দ্ৰমা জোছনা করি এ হাদি রেখেছে। ভরি, তুই তারা সে আলোকে হাইবি আপনাহারা ! দূর হ রে- দূর হ রে- দূর হরে ক্ষুদ্র তারা ! কিন্তু কি মধুর মুখ ভাবভরে ঢলঢল ! কোমলকুসুমসম সমীরণে টলমল ! দেখি নি এহেন মুখ সুমধুর ভাবময় ! কেন ? ললিতার মুখ এ হতে কি ভালো নয় ? আহা সে মধুর বড়ো ললিতার মুখখানিআঁখি কত কথা কয়, মুখেতে নাইক বাণী, বাহির হইতে চায় তার সেই মৃদু হাসিঅধরের চারি ধারে কতবার উকি মারে, লজ্জায় মরিয়া যায় কেবল দুই পা আসি ! তার মুখ পূর্ণরাকা শরমের মেঘে ঢাকা, মধুর মুখানি তার আমি বড়ো ভালোবাসি ! ললিতার চেয়ে কি গো মুখখানি ভালো এর ? উভেরই মধুর মুখ- দুই ভাব দু-জনেরাললিতা সে লাজময়ী মুখেতে নাইক কথা, মাটি-পানে চেয়ে আছে যেন,লজাবতী লতা ; বরষার নদীজল করিতেছে। টলমল উভেরই মধুর মুখ ললিতার, নলিনীর— অধীর সৌন্দৰ্য্য কারো- কারো বা প্ৰশান্ত স্থির ! কিন্তু নলিনীর মুখ ভাবের খেলার গোহসেথা ভাবশিশুগুলি করিতেছে কোলাকুলি, (łą Gł