পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“ভগ্নহৃদয় সেই যে দুখিনী ছিল বিষয়ে মলিন, সেই যে ভালোবাসিত হৃদয় ভরিয়া, সেই যে কাদিত বনে আসি প্রতিদিন, সে বালা মরিয়া গেছে, কোথায় সে আর ? ছিন্ন বস্ত্ৰ, মান মুখ, লয়ে দুঃখভার, তাহার সে বুকের লুকানো কথা লয়ে মরেছে সে বালা অ্যাজ সন্ধ্যার উদয়ে ! তবে এ কাহারে হেরি নিশীথে শ্মশানে ? ও একটি উদাসিনী সন্ন্যাসিনী যায়কারেও বাসে না ভালো, কারেও না জানে, আপনার মনে শুধু ভ্ৰমিয়া বেড়ায় একটি ঘটনা ওর ঘটে নি। জীবনে, একটি পড়ে নি রেখা ওর শূন্য মনে ! পথ ছাড়, পাস্থ, কিবা শুধাইছ আর ? জীবনে কাহিনী কিছু নাই বলিবার ! মুরলা, সত্যই তবে হলি সন্ন্যাসিনী ? সত্যই ত্যজলি তোর যত কিছু আশা ? তবে রে বিলম্ব কেন, বসিয়া আছিস হেন এখনো কি- এখনো কি সব ফুরায় নি ? এখনো কি মনে মনে চাস ভালোবাসা ? বড়ো মনে সাধ ছিল রহিব হেথায়কষ্ট পাই, দুঃখ পাই, রাবণ তারি সাথ— আমরণ বেড়াইব ধরি তারি হত ! কিছুতে এল না হাসি বিষন্ন বদনে, সদাই এড়াতে হ’ত কবির নয়ন, বঁকাদিতে আসিতে হ’ত এ আঁধার বনে ! জিকে সুখের দিন কবির আমার, হৃদয়ে তিলেক নাই বিষাদ-আঁমাধার, নূতন প্ৰণয়ে মগ্ন তাহার হৃদয় বিশ্বচরাচর হেরে হাস্যসুধাময় ! এখন, মুরলা আমি, কেন রহি। আর ? যেখানেই যান কবি হৰ্ষে হাসি হাসি । সেথাই দেখিতে পান এ মুখ আমার ওঠ লো মুরলা তবে- দিন হ’ল শেষ ! পর লো মুরলা তবে সন্ন্যাসিনীবেশ ! বেড়াইবি তীর্থে তীর্থে, ত্যজিবি সংসার— ভুলে যাবি যত কিছু আছে। আপনার ! কত শত দিন কত বর্ষ যাবে চলি (bro