পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগ্নহৃদয় ও মুখ কি আর কীভু পাব না দেখিতে যত দিন হবে মোরে বাচিয়া থাকিতে ? পল যাবে, দণ্ড যাবে, দিন যাবে, মাস যাবে, বর্ষ বর্ষ করি যাবে জীবন আমার— ও মুখ দেখিতে তবু পাব নাকো আর ? মুরলা, পারিবি তুই ? পারিবি থাকিতে ? দারুণ পাষাণে মন বাধিয়া রাখিতে ? ? না, না, না, মুরলা তুই যাইরি কোথায় ? অসীম সংসারে তোর কে আছে রে হয় ? হবে যা অদৃষ্টে আছে, থাকিস কবির কাছেকবি তোর সুখ শান্তি হৃদয়ের ধন, থাকিস জড়ায়ে ধরি কবির চরণ, কবির চরণে শেষে ত্যজিস জীবন ! কিন্তু স্বার্থপর তুই কি করিয়া রবি ? বিষয় ও মুখ তোর নিরাখিয়া কবি এখনো বঁকা দেন। যদি, এখনো তাহার হাদি পুরানো বিষাদ যদি করে গো স্মরণ ? সেই ছেলেবেলাকার বিষাদ্যযন্ত্রণাভার - আমি যদি তার মনে জাগাইয়া রাখিতবে, রে হতভাগিনী, কি বলিয়া থাকি ! তবে আমি যাই, তবে যাই, তবে যাইকেহ মোর ছিল নাকো, কেহ মোর নাই ! মুরলা বলিয়া কেহ আছে কি ভুবনে ? সে একটি নিশীথের স্বপ্ন মোহময়, দেখিব স্বপন ভাঙি মুরলা সে নয় ! নাই তার সুখ দুখ, নাই ভালোবাসা, নাই কবি- নাই কেহ- নাই কোনো আশা ! কেহই সে নয়, আর কেহ তার নাই, তবে কি ভাবনা আর- যেথা ইচ্ছা যাই ! আমারে না দেখে যদি তার কষ্ট হয় ? থাম থাম, মুরলা রে, কেন মিছে বারে বারে মনেরো প্ৰবোধ দিস ও কথা বলিয়া ! শুনিলে জগৎ যে রে উঠিবে হাসিয়া ! চল তুই, চল তুই- যেথা ইচ্ছা চল তুই, কেহ নাই তোর লাগি কঁদিবার তরে ! তবে চলিলাম, কবি, দূর দেশান্তরে ! অন্তৰ্যামী দেবতা গো, শুন। একবার, কবি যেন সুখী হয়, নলিনী সে সুখে রায় @ Ե-Գ