পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G S SR ‘রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বড়ো সাধ কাছে গিয়ে মুখখানি তুলে নিয়ে চাপিয়া ধরি গো এই বুকের মাঝার, মুখপানে চেয়ে চেয়ে কাদি একবার ! সে কেন ব্যারেক চেয়ে কথাও না কয়, পাষাণে গঠিত যেন, স্থির হয়ে রায় ! / যেন রে ললিতা তার কেহ নয়- কেহ নয়দাসীর দাসীও নয়, পথের পথিকো নয় ! যেন একেবারে কেহ- কেহ নাই কাছে, ভাবনা লইয়া তার একেলা সে আছে ! কী যেন দেখিছে। ছবি আকাশের পটে, মুকুর্তের তরে যেন মনে মনে ভাবে হেন“ললিতা এসেছে বুঝি, বসেছে নিকটে, LL qOODD DBD LDBDS MBS rBB DB SS মাঝে মাঝে আসে বটে, পারে না যে নাথসখা গো, নিতান্ত তাই কথাটি শুধাতে নাই ? বারেক করিতে নাই মোহনেত্রপাত ? নিতান্তই পদতলে পড়ে থাকে বটে ! সখা, তাই কি গো তারে তুলিয়া উঠাবে না রে, ব্যারেক রাখিবে নাকি বুকের নিকটে ! লতা আজ লুটাইয়া আছে। পদমূলে, মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখে- আপনারে ভুলেপ্ৰাণপণে ভালোবেসে জড়ায়ে জড়ায়ে শেষে এক দিন উঠিবে সে বুকে মাথা তুলে, শাখাটি বাধিতে দিবে। আলিঙ্গনে তার, দুখিনীর সে আশা কি বড়ো অহংকার ? কি করেছি। অপরাধ বুঝিতে না পারি ! দিন রাত্রি, সখা, আমি রয়েছি তোমারিকিসে তুমি ভালো রবে, কিসে তুমি সুখী হবে, দিন রাত সে ভাবনা জাগিছে। অন্তরে ! মৃত্যুর্ত ভাবি না। আমি আপনার স্তরে । তারি বিনিময়ে কি গো এত অনাদর ! শতখানা ফেটে যায় বুকের ভিতর । সখা, আমি অভিমান কভু করি নাইমনে করিতেও তাহ লাজে মরে যাই । ধীরে ধীরে এনে কাছে মনে মনে হাস পাছে“দুখিনী ললিতা সেও অভিমান করিয়াছে !” তাই অভিমান কভু মনেও না ভায়, অশ্রািজল “ হেরে পাছে হাসি তব পায় ! বুকে বড়ো ব্যথা বাজে, তাই ভাবি মাঝে মাঝে ভিক্ষুকের মতো গিয়া পড়ি। তব পায়কেঁদে গিয়ে ভিক্ষা করি করিয়া বিনয়,