পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ললিতা । ठललिऊा । ভগ্নহৃদয় হৃদে হৃদে ভালোবাসা করেছ সঞ্চার, অথচ দাও নি লোক ভালোবাসিবার ! সমস্ত সংসার এই খুজিয়া দেখিলে দুটি হৃদি একরূপ কেন নাহি মিলে ? ? ওই-যে ললিতা হেথা আসিছে আবার ! করেছে সমস্ত মুখ বিষগ্ন আঁধার 1 কেন ? তার হয়েছে কী ভেবে তো না পাই । ষা লাগি বিষ হয়ে রয়েছে সদাই ! চায় কি সে দিনরাত্রি বুকে তারে রাখি, অবাক মুখেতে তার তাকাইয়া থাকি ? দিবানিশি বলি তারে শত শত বার “ভালোবাসি- ভালোবাসি প্ৰেয়সী আমার” । তবেই কি মুখ তার হইবে উজ্জ্বল ? তবেই মুছিবে তার নয়নের জল ? qN5 e Kovo e G a 33 o . নিঃশব্দে সংসার তবু চ’লে কি না যায় ! জগৎ ভাসিয়া যেত নয়নসলিলে ! দিনরাত অশ্রাবারি। আর তো সহিতে নারিদূর হােক, হেথা হতে লইব বিদায়, অদৃষ্টের অত্যাচার সহা নাহি যায়! [অনিলের প্রস্থান ললিতার প্রবেশ এমনি ক’রেই তোর কাটিবে কি দিন ? ললিতা রে, আর তো সহে না ! এ জীবন আর তো রাহে না ! বিধাতা, বিধাতা, তোর ধরি রে চরণবল মোরে কবে মোর হইরে মরণ ? নাইক সুখের আশা- চাই নাকে ভালোবাসাসুখসম্পদের আশা দুরাশা আমারকপালে নাইক যাহা চাই না তা আর ! এক ভিক্ষা মাগি ওরে- তাও কি দিবি নে মোরে ? সে নহে সুখের ভিক্ষা- মরণ- মরণ !— মরণ- মরণ দে রে- আর কিছু চাহি নে রে, আর কোনো আশা নাই- মরণ মরণ ! এখনি মুদিলে আঁখি যদি রে আর না থাকি, অমনি বায়ুর স্রোতে মিশাইয়া যাই— এখনি এখনি আহা হয় যদি তাই ! অনিলের প্রবেশ * কোথা যাও, কোথা যাও, সখা, তুমি কোথা যাও\qq588 (5G: CrfCxỉ \qề fằo-oiG ! V96ov)