পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डॉशम्रा Ne Coire আমার আলয় নাই- ভাই নাই, বন্ধু নাই, কেহ নাই এক তিল করিবারে স্নেহদিবস ফুরায়ে এলে মোর তরে কেহ জ্বালায়ে রাখে না কভু প্ৰদীপটি ঘরে, পথপানে চেয়ে কেহ নাই মোর তরে ! দিবসের শ্রমে ব্লকান্ত- সন্ধ্যাযবে হয়। কোথায় যে যাব, নাই মেহের অ্যালয় ! বিরাম বিশ্রাম নাই- অাদর যতন নাইপথপ্ৰান্তে ধূলি পরে করি গো শয়ন, চেয়ে দেখিবার লোক নাই এক জন । অন্ধকার শাখা মেলি শুধু বৃক্ষ যত কী ক’রে যে চেয়ে থাকে অবাকের মতো ! তারকার স্নেহশূন্য লক্ষ লক্ষ আঁখি এক দৃষ্টে চেয়ে থাকে দূরাকাশে থাকি ! মেহের অভাব মনে জেগে উঠে কেন ? আশ্রয়ের তরে মন হুহু করে যেন ! এত লক্ষ লক্ষ আছে সুখের কুটার, একটিও নহে। ওর এই অভাগীর ! সন্ধ্যায় যে কোথা যাব তারো নাই ঠাই ! কত শত দিন হল ছেড়েছি আলয়আজো কেন ফিরে যেতে তবু সাধ হয় ? ঘুরে ঘুরে পথশ্ৰান্ত, নাই দিগ্বিদিক— আকাশ মাথার পরে চেয়ে অনিমিখ ! লক্ষ্য নাই, আশা নাই, কিছু নাই চিতেএমন ক’দিন আর পারিব থাকিতে ? আহা সে চপলা মোর, থাকিত সে কাছে । হয়তো তাহার মনে ব্যথা লাগিয়াছে ! আমি কোথা হ’তে এক আসিয়া ভীমাধার মলিন করিয়া দিনু হৃদয় তাহার । সদাই সে থাকে আহা প্ৰমোদের ভরে, মুহুর্ত সে মোর তরে কঁাদিবে কেন রে ? এতক্ষণে কবি মোর এসেছে। ভবনে, কে রয়েছে তার তরে বসি বাতায়নে ? পদশব্দ শুনি তার তুরায় আমনি দিতেছে দুয়ার খুলি কে গো সে রমণী ! প্ৰতিদিন মালা গেথে দিতাম। যেমন, আজো কি তেমনি কেহ করে গো রচনা ? হয়তো অ্যালয় তার রয়েছে আঁমাধার, হয়তো কেহই নাই বাতায়নে তার ।