পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

suse এই যে কুটীয় এও কোল বাড়াইয়া দেয়, অভ্যর্থনা করে নি যে কোনো অতিথিরে ! ভুকুটি কোরো না পিতা, ওই ভুকুটির ভয়ে সমস্ত তোমার আজ্ঞা করেছি। পালন। পায়ে পড়ি ক্ষমা করা- এই ভিক্ষা দাও পিতা 359 অমিয়া। SPSO) অমিয়া। 35e) এ ভালোবাসায় মোর করিও না রোষ ! রুদ্রচণ্ড । মাতৃস্তন্য কেন তোর হয় নাই বিষ ! অথবা ভূমিষ্ঠ শয্যা চিতাশয্যা তোর! অমিয়া । তাই যদি হত, পিতা, বড়ো ভালো হত ! কে জানে মনের মধ্যে কি হয়েছে মোর, বরষার মেঘ যদি হইতাম আমি বর্ষিীয়া সহস্রধারে অশ্রািজলরাশি ব্যঞ্জনাদে করিতাম আকুল বিলাপ! আগে তো লাগিতভালো জোছনার আলো, ফুটন্ত ফুলের গুচ্ছ, বকুলতলাটিভুকুটির ভয়ে তব ডারিয়া ডারিয়া তাহদেরও ’পরে মোর জন্মেছে বিরাগ ! শুধু একজন আছে যার মুখ চেয়ে বড়োই হরষে পিতা সব যাই ভুলে, দূর হতে দেখি তারে আকুল হৃদয় দেহ ছাড়ি তাড়াতাড়ি বাহিরিতে চায়! সে আইলে তার কাছে যেতে দিও মোরে! সে যে পিতা অমিয়ার আপনার ভাই! বটে বটে, সে তোমার আপনার ভাই! শত তীক্ষ বীজ তার পড়ুক মস্তকে, চিরজীবী হউক সে অগ্নিকুণ্ডমাঝে! মুখ ঢাকিস নে তুই, শোনা তোরে বলি, পুনরায় যদি তোর আপনার ভাইচাদ কবি এ কাননে করে পদার্পণ এই যে ছুরিকা আছে কলঙ্ক ইহার তাহার উত্তপ্ত রক্তে করিব ক্ষালন! ও কথা বোল” না। পিতা চুপ, শোন বলি; জীবস্তে ছুরিকা দিয়া বিধিয়া বিধিয়া শত খণ্ড করি তার ফেলিব শরীর, পাণ্ডুবৰ্ণ আঁখি-মুদা ছিন্ন মুণ্ড তার ওই বৃক্ষশাখা-পরে দিব টাঙাইয়া, ভিজিবে বর্ষার জলে, পুড়িবে তপনে যতদিনে বহিরিয়া না পড়ে কঙ্কাল! শুনিয়া বঁকাপিতেছিস, দেখিবি যখন মন্তকের কেশ তোর উঠিবে শিহরি! : poS