পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমিয়া । রক্তহীন যদি নাহি হয়। এ ধমনী, তবে এই ছুরিকাটি এই হস্তে ধরি উরসে খোদিব। তার মরণের পথ ! হৃদয় এমন মোর হয়েছে অধীর পারি। নে থাকিতে হেথা স্থির হয়ে আর! চলিনু, অমিয়া, আমি-তুই থাক হেথা, চলিন গুহায় আমি করিগে ভ্ৰমণ। চাদ কবি পুন। যদি আসে একুটীরে জীবন লইয়া আর যাবে না সে ফিরে! বডো সাধ যায় এই নক্ষত্ৰমালিনী স্তব্ধ যামিনীর সাথে মিশে যাই যদি ! মৃদুল সমীর এই চাদের জোছনা, নিশার ঘুমন্ত শান্তি, এর সাথে যদি অমিয়ার এ জীবন যায় মিলাইয়া! আঁধার ভুকুটিময় এই এ কানন, সংকণীহাদয় অতি ক্ষুদ্র এ কুটার, ভুকুটির সমুখেতে দিনরাত্রি বাস, শাসন-শকুনি এক দিনরাত্ৰি যেন মাথার উপরে আছে পাখা বিছাইয়াএমন ক’দিন আর কাটিবে জীবন ! থেকে থেকে প্ৰাণ উঠে বঁকাদিয়া বঁকাদিয়া ! পাখি যদি হইতাম, দু-দণ্ডের তরে সুনীল আকাশে গিয়া উষার আলোকে একবার প্রাণ ভরে দিতেম সাতার ! আহা, কোথা চাদ কবি, ভাই গো আমার! এ রুদ্ধ অরণ্য-মাঝে তোমারে হেরিলে দু-দণ্ড যে আপনারে ভুলে থাকি আমি! [ প্ৰস্থান রুদ্ৰচণ্ডের প্রবেশ না-না পিতা, পায়ে পড়ি, পারিব না। তাহা, । আর কি তাহারে কীভু দেখিতে দিবে না ? কোন অপরাধ আমি করেছি। তোমার অভাগীরে এত কষ্ট দিতেছ যা লাগি । কে জানে বুকের মধ্যে কি যে করিতেছে! দাও পিতা, ওই ছুরি বিধিয়া বিধিয়া ভেঙে ফেল যাতনার এ আবাসখানা ! ওই ছুরি কত শত বীরের শোণিতে মাথা তার ডুবায়েছে হাসিয়া হাসিয়া, ক্ষুদ্র এই বালিকার শোণিত বর্ষিতে vvSOv)