পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ど○ ○ দূত । 委FF5● অমিয়া । রুদ্রচণ্ড । অমিয়া । রবীন্দ্র-রচনাবলী সহসা উন্মাদ আজি হলে নাকি তুমি ? বন্দীভাবে পৃথ্বীরাজ হত হয়েছেন । কিন্তু হেন রোষ আমি দেখি নি তো কারো । [প্ৰস্থান ছুরি নিক্ষেপ করিয়ামুহুর্তে জগৎ মোর ধ্বংস হয়ে গেল । শূন্য হয়ে গেল মোর সমস্ত জীবন ! পৃথ্বীরাজ মরে নাই, মরেছে যে জন সে কেবল রুদ্রচণ্ড, আর কেহ নয় । যে দুরন্ত দৈত্যশিশু দিন রাত্রি ধ’রে তারে নিয়ে খেলা শুধু এক কাজ ছিল, পৃথিবীতে আর কিছু ছিল না। আমার, তাহারি জীবন ছিল আমার জীবনএ মূহুর্তে মরে গেল সেই বৎস মোর ! তারি নাম রুদ্রচণ্ড, আমি কেহ নাই । আয়, ছুরি, আয় তবে, প্ৰভু গেছে তোরএ শূন্য আসন তার ভেঙে ফেল। তবে । বিধাইয়া বিধাইয়া ভেঙে ফেল, ভেঙে ফেল, ভেঙে ফেল। তবে । অমিয়ার প্রবেশ পিতা, পিতা, অমিয়ারে ক্ষমা কর পিতা ! চমকিয়া স্তব্ধ আয় মা অমিয়া মোর, কাছে আয় বাছা ! এত দিন পিতা তোর ছিল না। এ দেহে, আজ সে সহসা হেথা এসেছে ফিরিয়া । অমিয়া, মলিন বড়ো মুখখানি তোর ! আহা বাছা, কত কষ্ট পেলি এ জীবনে ! আর তোরে দুঃশ্ন পেতে হবে না, বালিকা, পাষণ্ড পিতার তোর ফুরায়েছে দিন । রুদ্রচণ্ডকে আলিঙ্গন করিয়াও কথা বোলো না পিতা, বোলো না, বোলো নাঅমিয়ার এ সংসারে কেহ নাই। আর । তাড়ায়ে দিয়েছে মোরে সমস্ত সংসার, এসেছি পিতার কোলে বড়ো শ্ৰান্ত হয়ে । যেথা তুমি যাবে পিতা যাব সাথে সাথে, যা তুমি বলিবে মোরে সকলি শুনিব, তোমারে তিলোক-তরে ছাড়িব না। আর ।