পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS রবীন্দ্র-রচনাবলী “হাসিখানি” হইত, শ্যাম যখন চলিয়া যাইত, তখন হাসিখানিকে লইয়া, বসিয়া থাকিতাম ! আমাদের অপেক্ষা কবিদের একটি সুখ অধিক আছে। আমরা যাহাকে স্পর্শ করিতে পারি না, কল্পনায় তাহারা তাহাকে স্পর্শ করিতে পারেন। উষাকে তাহারা বালিকা মনে করেন, সংগীতকে তাহারা নিবন্ধুর মনে । করেন, নবমালিকা ফুলকে তাহারা যেরূপ স্পর্শ করিতে পারেন জ্যোৎস্নাকে তাহারা সেইরূপ স্পর্শ করিতে পারেন, এই নিমিত্তই তাহারা সাহস করিয়া নবমালিকা লতার “বানজ্যোৎস্না” নামকরণ করিয়াছেন। পৃথিবীতে আমরা যাহাকে স্পর্শ করিতে পাইয়াছি তাহাকে আর স্পর্শ করিতে চাই না, যাহাকে স্পর্শ করিতে পাই না তাহাকে স্পর্শ করিতে চাই ! এ কি বিড়ম্বনা ! -डाऊँी, वशीश & २५०, विविक्ष अनत्र, १: २१-२५ “ফল ফুল” প্রসঙ্গের পূর্বে নিম্নলিখিত প্রসঙ্গটি ছিল অদূরদশীরা আক্ষেপ করেন আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ দরিদ্র। দূরদশীরা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলেন আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ দরিদ্র হইতে শিখিল না। সে দিন আমার বন্ধু ক দুঃখ করিতেছিলেন যে, আমাদের দেশে যথাসংখ্যক উপযুক্ত মাসিক পত্রিকার নিতান্ত অভাব। পণ্ডিত খ কহিলেন, “আহা, আমাদের দেশে এমন দিন কবে আসিবে যেদিন উপযুক্ত মাসিক পত্রিকার যথার্থ অভাব উপস্থিত হইবে।” আসল কথা এই যে, দরিদ্র না হইলে বড়োমানুষ হওয়া যায়না। নীচে না থাকিলে উপরে উঠা যায় না। বড়োমানুষ নই বলিয়া দুঃখ করিবার আগে, দরিদ্র নই বলিয়া দুঃখ কর । যাহার অভাব নাই তাহার ‘অভাব মোচন হইল না বলিয়া বিলাপ করা বৃথা। এখন আমাদের সমাজকে এমন একটা ঔষধ দিতে হইবে যাহা প্রথমে ঔষধরূপে ক্ষুধা জন্মাইয়া পরে পথরূপে সেই ক্ষুধা মোচন করবে। একেবারেই খাদ্য দেওয়ার ফল নাই। আমাদের দেশে যাহারা খাবারের দোকান খোলে তাহারা ফেল হয় কেন ? আমাদের সমাজে যখনি একখানি মাসিক পত্রের জন্ম হয় তখনি সমাজ রাজপুত পিতার ন্যায় ভূমিষ্ঠশয্যাতেই তাহাকে বিনাশ করে কেন ? যাহার আবশ্যক কেহ বােধ করে না। সে টেকিয়া থাকিতে পারে না, অতএব আবশ্যকবােধ জন্মে নাই বলিয়াই দুঃখ, দ্রব্যটি নাই বলিয়া न(२ | --ভারতী, আশ্বিন ১২৮৮), বিবিধ প্রসঙ্গ, পূ: ২৮৪-৮৫ “দ্রুত বুদ্ধি” প্রসঙ্গের নিম্নোদ্ধৃত শেষাংশ পরিত্যক্ত হইয়াছে কবিরা এইরূপ অসাধারণ বুদ্ধিমান। তাহারা বুঝেন, কিন্তু এত বিদ্যুৎ-বেগে যুক্তির রাস্তা অতিক্রম করিয়া আসেন যে, রাস্তা মনে থাকে না, কেবল বুঝেন মাত্র । কাজেই অনেক সমালোচককে রাস্তা বাহির করিবার জন্য জাহাজ পাঠাইতে হয় | বিষম হাঙ্গামা করিতে হয়। কবি উপস্থিত আছেন, অথচ তঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি উত্তর দিতে পারেন না । তিনি বসিয়া বসিয়া শুনিতেছেন- কেহ। বলিতেছে উত্তরে পথ, কেহ বলিতেছে দক্ষিণে পথ। দ্রুতগামী কবি সহসা এমন একটা দূর ভবিষ্যতের রাজ্যে গিয়া উপস্থিত হন যে, বর্তমান কাল তাহার ভাবভঙ্গি বুঝিতে পারে না। কি করিয়া বুঝিবে ? বর্তমান কালকে এক এক পা করিয়া রাস্তা খুঁজিয়া খুঁজিয়া সেইখানে যাইতে হইবে ; কাজেই সে হঠাৎ মনে করে কবিটা বুঝি পথ হারাইয়া কোনো অজায়গায় গিয়া উপস্থিত হইল। কবিরা মহা দার্শনিক। কেবল দার্শনিকদের ন্যায় তাহারা ইচ্ছা করিলে নির্বোধি হইতে পারেন না । কিয়ৎ-পরিমাণে নির্বোিধ না হইলে এ সংসারে বুদ্ধিমান বলিয়া খ্যাতি হয় না। w -छाठी, अग्नि ७२”, वि१ि१ धनत्र, १ २३२