পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত বিমোহন রূপাখানি হৃদিমাঝে ধরিয়ে । একদা প্ৰলয়শিঙা বাজিয়া রে উঠিবে ! অমনি এ জগতের রাশিরজজু টুটিবে । আলোকসর্বস্ব হারা অন্ধ যত গ্ৰহ তারা । দারুণ উন্মাদ হয়ে মহাশূন্যে ছুটিবে ! ঘুম হ’তে জাগি উঠি রক্ত আঁখি মেলিয়া প্ৰলয় জগৎ লয়ে বেড়াইবে খেলিয়া । প্ৰলয়ের তালে তালে ওই বামা নাচিবে, প্ৰলয়ের তালে তালে এই হাদি বাজিবে ! আঁধারকুস্তল তোর মহাশূন্য জুড়িয়া চরণের তলে আসি পড়িবেক গুড়ায়ে, দিবি সেই বিশ্বচুর্ণ নিঃশ্বাসেতে উড়ায়ে ! এমনি রহিব স্তব্ধ ওই মুখে চাহিয়াদেখিব হৃদয়মাঝে কেমনে ও বামা নাচে জগতের হাহাকার যাবে স্তব্ধ হইবেঘোর স্তব্ধ, মহাস্তব্ধ, মহাশূন্য রহিবে আঁধারের সিন্ধুরবে অনন্তেরে গ্রাসিয়া— সে মহান জলধির নাই উমি, নাই তীর— সেই স্তব্ধ সিন্ধু ব্যাপি রব আমি ভাসিয়া ! তখনো রবি কি তুই এই বুকে দাড়ায়ে, ভাবনাবাসনাহীন এই বুক মাড়ায়ে ? ভগ্নতরী . 5i প্ৰথম সর্গ ডুবিছে তপন, আসিছে আঁধার, प्रियः शल ऊषवान् ঘুমায় সাঝের সাগর, করিয়া কনককিরণ পান । অলস লহরী তাঁটের চরণে ঘুমে পড়িতেছে। ঢুলি, ዓb”ዒ