পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত লতাপাশ বাধিছে চরণে । একাকী আপনমনে ভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে বনে যাইত সে তটিনীর তীরেলতায় পাতায় গাছে আঁধার করিয়া আছে, সেইখানে শুইত সুধীরে । জলকলরবরাশি প্ৰাণের ভিতরে আসি ঢালিত কি বিষাদের ধারা ! ফাটিয়া যাইত বুক, বাহুতে ঢাকিয়া মুখ কাদিয়া কাদিয়া হ’ত সারা । কাননশৈলের পায়ে মধ্যাহ্নে গাছের ছায়ে মলিন অঞ্চলে রাখি মাথা কত কি ভাবিত হয়, উচ্ছসি উঠিত বায়, ঝরিয়া পড়িত শুষ্ক পাতা । গভীর নীরব রাতে উঠিয়া শৈলের মাথে বসিয়া রহিত একাকিনী পড়িত কি বিষাদকাহিনী ! সুরেশ না পাইত ভাবিয়াকাতর হইয়া কত যুবা তারে শুধইত, আগ্রহে অধীর তার হিয়া“রাখা কথা, শুন সখি, একবার বলে দেখি কি করিব তোমার লাগিয়া ? কি চাও, কি দিব বালা, বলে গে কিসের জ্বালা ? কি করিলে জুড়াবে ও হিয়া ?” করুণ মমতা পেয়ে সুরেশের মুখ চেয়ে অশ্রু উচ্ছসিত দরদরেললিতা কাতর রবে রুদ্ধকণ্ঠে কহে। তবে, “সখা গো ভেব না মোর তরে ! আমারে দিও না দেখা, বিজনে রহিব এক বিজনেই নিপাতিব দেহ । এ দগ্ধ জীবন মোর কাদিয়া করিব ভোর, জানিতেও পরিবে না কেহ ।” সুরেশ ব্যথিতহিয়া একেলা বিজনে গিয়া ভাবিত, কাদিত আনমনেপ্ৰাণপণ করি তার তবুও তো ললিতার পারিল না অশ্রুবিমোচনে । ফুলগুলি বাছি বাছি গাথি লয়ে মালাগাছি ANNO