পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত কৃতজ্ঞতাপূর্ণ প্ৰাণে আঁখি তুলি মুখপানে নীরবে কহিত কত বাণী ! রোগের অনল জ্বালা সহিতে না পারি বালা করিত সে এ-পাশ ও-পাশ, অনেক যাতনা হত হ্রাস । ফল-মূল-অন্বেষণে যুবা যবে যেত বনে একেলা ঠেকিত ললিতার । চাহিত উৎসুকহিয়া প্ৰতি শব্দে চমকিয়া, সমীরণে নড়িলে দুয়ার। সুরেশ আসিত যবে ফিরে হাসিটি উঠিত ফুটি ধীরে । দিন রাত্ৰি নাহি মানি বনৌষধি তুলি আনি সুরেশ করিছে সেবা তার । রোগ চলি গেল ধীরে, বল ক্ৰমে পেলে ফিরে, সুস্থ হল দেহ ললিতার । রোগশয্যা তেয়াগিয়া মুক্ত সমীরণে গিয়া মনসুখে বনে বনে ফিরি পাখির সংগীত শুনি সিন্ধুর তরঙ্গ শুনি জীবনে জীবন এল ফিরি } চতুর্থ সৰ্গ প্ৰাণের উচ্ছাস ঢালে নব যৌবনের গানে । এক ঠাই পাশাপাশি ফুটে ফুল রাশি রাশিগলাগলি ফুলে ফুলে, গায়ে গায়ে ঢলঢলি । খেলি প্ৰতি ফুল-’পরে সুরভিরাশির ভরে শ্রান্ত সমীরণ পড়ে প্ৰতি পদে টলি টলি । কোথায় ডাকিছে পাখি খুঁজিয়া না পায় আঁখিবনে বনে চারি দিকে হাসিরাশি বাদ্যগান । দুরগম শৈল যত ঢাকা লতা-গুলেম শত তাদের হরিত হদে তিল মাত্ৰ নাই স্থান । ললিতার আঁখি হতে শুকায়েছে অশ্রদ্ধার, বসন্তগীতের সাথে বাজিছে হৃদয় তার পুরানো পল্লব ত্যজি নবকিশলয়ে যথা তেমনি গো ললিতার হদয়লতাটি ঘিরে নবীন হরিতপ্ৰেম বিকশিছে ধীরে ধীরে । AS (?