পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত দেখিয়া দোহার হিয়া উঠিল। গো উথলিয়া বিস্ময়হরষ। আর নাহি ধরে। প্ৰাণে ! কুটীর বঁাধিবে এক বিপাশার তীরে । দুখ শোক ভুলি গিয়া একত্রে দুইটি হিয়া সুখে জীবনের পথে করিবে ভ্ৰমণ, একত্ৰে দেখিবে-দোহে সুখের স্বপন । উঠিল তরণী-’পরে, অনুকুলবায়ুভরে স্বদেশে করিল আগমনবাধিয়া পরাণশালা না জানিয়া কোনোজালা করিতেছে জীবনযাপন । নিবরি কানন নদী দ্বীপের কুটীর যদি দুটিতে মগন হয়ে অতীতের কথা লয়ে ফুরাতে নারিত সারাক্ষণে আধ’ ঘুমঘোরে প্রাতে পল্লবমমর-সাথে শুনি বিপাশার কলস্বরাস্বপনে হইত মনে দূর সে দ্বীপের বনে শুনিতেছে নিকািরকবর ! দ্বীপের কুটারখানি কল্পনায় মনে আনি ভাবিত সে শূন্য আছে পড়ি, ভগ্ন ভিতে উঠে লতা, গৃহসজা হেথা হােথা প্রাঙ্গণে যেতেছে গড়াগডি, হয়তো গো বঁকাটা গাছে এত দিনে ঘিরিয়াছে ললিতার সাধের কানন- - এত দিনে শাখা জুড়ি ফুটেছে মালতীৰ্কড়ি দেখিবার নাই কোনো জন । সেই যে শৈলেতে উঠি বসিয়া রহিত দুটি, নারিকেলকুঞ্জটির কাছে— তাহারা তেমনি রহিয়াছে । মাঝে মাঝে উঠিত নিশ্বাস, লাগিত সে দ্বীপের বাতাস । একদা চাদিনী রাতি দুজনে প্রমোদে মাতি গেছে এক বিজন কাননেভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে তথা কহিতে কহিতে কথা কত দূরে গেল। আনমনে । সহসা সে বিভােবরী আইল তঁমাধার করিাগগনে উঠিল মেঘরাশি, Գ ՏԳ