পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brSV রবীন্দ্র-রচনাবলী আশ্রমের রূপ ও বিকাশ বিশ্বভারতী পুস্তিকামালার অন্তর্গত হইয়া ১৩৪৮ সালের আষাঢ় মাসে প্রথম প্রকাশিত হয় । তখন ইহাতে প্ৰবন্ধ ছিল দুইটি ! শান্তিনিকেতন-বিদ্যালয়ের পঞ্চাশদাবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আরো একটি প্ৰবন্ধ যোগ করিয়া ইহার পরিবর্ধিত সংস্করণ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ৭ পৌষ ১৩৫৮ সালে । রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে এই পরিবর্ধিত সংস্করণের অন্তগত প্ৰবন্ধ তিনটিই সন্নিবেশিত হইল । পরিবর্ধিত সংস্করণের প্রথম প্ৰবন্ধটি “আশ্রমের শিক্ষা” নামে ১৩৪৩ সালের আষাঢ় সংখ্যা প্রবাসীতে মুদ্রিত হয়, এবং নিউ এডুকেশন ফেলোশিপ -প্রকাশিত “শিক্ষার ধারা’ পুস্তিকার SSDLDDSS BDDB BBDS DD BB BBDBB SBBDS BBDBD SDDDS S DD DBDB সংস্করণেও ইহা মুদ্রিত হইয়াছে। প্ৰবন্ধটি “আশ্রমের রূপ ও বিকাশ” (আষাঢ় ১৩৪৮) পুস্তিকারও অন্তর্গত । দ্বিতীয় প্রবন্ধটি “আশ্রমের রূপ ও বিকাশ” (আষাঢ় ১৩৪৮) পুস্তিকায় প্রথম প্রকাশিত ও তাহার কিছুকাল পূর্বে লিখিত । তৃতীয় প্রবন্ধটি “আশ্রম বিদ্যালয়ের সূচনা’ নামে ১৩৪০ আশ্বিন সংখ্যা প্রবাসীতে প্ৰকাশিত হয়। প্ৰবন্ধটি শান্তিনিকেতনে পঠিত । ইতিপূর্বে উহা কোনো গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয় নাই। বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন-বিদ্যালয়ের পঞ্চাশদাবর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রথম প্রকাশিত হয় ৭ পৌষ ১৩৫৮ ( ।। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাকাল হইতে ১৩৪৭ সাল পর্যন্ত কুড়ি বৎসরের অধিককাল শান্তিনিকেতন-আশ্রমবিদ্যালয় ও বিশ্বভারতীর আদর্শ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ যে-সকল বক্তৃতা দিয়াছিলেন, বিভিন্ন সাময়িক পত্র হইতে এই গ্রন্থে তাহার অধিকাংশই সংকলিত। এগুলি ইতিপূর্বে কোনো পুস্তকে প্রকাশিত হয় নাই। রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে বিশ্বভারতীর অন্তৰ্গত সকল রচনাই গৃহীত হইল। ১৩০৮ সালের ৭ পৌষ শান্তিনিকেতন ব্ৰহ্মবিদ্যালয় স্থাপিত হয় ; ১৩২৮ সালের ৮ পৌষ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হইবার বহু পূর্ব হইতেই শান্তিনিকেতনে ‘সর্বমানবের যোগসাধনের সেতু রচনার কল্পনা রবীন্দ্রনাথের মনকে ক্রমশ অধিকার করিতে থাকে ; শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক ও ছাত্ৰাদিগকে লিখিত কোনো কোনো পত্রে তাহার আভাস পাওয়া या | “সিকাগো । ৩ মার্চ (১৯১৩] -এখানে মানুষের শক্তির মূর্তি যে পরিমাণে দেখি পূর্ণতার মূর্তি সে পরিমাণে দেখতে পাই নে - মানুষের শক্তির যতদূর বাড়ি হবার তা হয়েছে, এখন সময় হয়েছে। যখন যোগের জন্যে সাধনা করতে হবে । আমাদের বিদ্যালয়ে আমরা কি সেই যুগসাধনার প্রবর্তন করতে পারব না ? মনুষ্যত্বকে বিশ্বের সঙ্গে যোগযুক্ত করে তার আদর্শ কি আমরা পৃথিবীর সামনে ধরব না ?--- মানুষকে তার সফলতার সুরটি ধরিয়ে দেবার সময় এসেছে। আমাদের শান্তিনিকেতনের পাখিদের কণ্ঠে সেই সুরটি কি ভোরের আলোয় ফুটে উঠবে। p”. --তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা, বৈশাখ ১৩২০ । প্রবাসী, জ্যৈষ্ঠ ১৩:২০, কষ্টিপাথর ।