পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8S রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী পরিশিষ্টে ( চরকা’ প্রন্ধে) রবীন্দ্রনাথ যে লিখিয়াছেন “আমার কোনো কোনো আত্মীয় তখন সমবায়তত্ত্বকে কাজে খাটাবার আয়োজন করছিলেন, নগেন্দ্ৰনাথ গঙ্গোপাধ্যায় তাহাদের অন্যতম । “জনসাধারণের নিজের অর্জনশক্তিকে মেলাবার উদ্যোগ, ‘অনেক মানুষ একজোট হইয়া জীবিকানির্বাহ করিবার উপায়, যাহাতে মানুষ “মিলিয়া বড়ো হইবে, “শুধু টাকায় নয়, মনে ও শিক্ষায় বড়ো হইবে”— সমবায়ের এই মূলতত্ত্ব দেশের উন্নতির পন্থারূপে রবীন্দ্রনাথের আরো অনেক রচনায় আলোচিত হইয়াছে’- নিজের জমিদারিতে ও পরে বিশ্বভারতীতে তাহা কাৰ্যতও প্রয়োগ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন, “রবীন্দ্রজীবনীতে তাহার বিবরণ আছে- “রবীন্দ্রনাথ যখন প্রজাদের মধ্যে. সমবায়াশক্তি জাগরকে করিবার কথা ভাবিতেছিলেন তখন বাংলাদেশে সরকারি কো-অপারেটিভ আন্দোলন আরম্ভ হয় নাই” । সমবায়-সমিতি-রূপে পরিকল্পিত “হিন্দুস্থান বীমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠার সময়েও তিনি উহার সহিত বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন । এই পুস্তকে সমবায়নীতি সম্বন্ধে বিশেষভাবে লিখিত রচনাদিই মুদ্রিত হইল। পরিশিষ্ট ব্যতীত অন্য রচনাগুলি পূর্বে রবীন্দ্রনাথের কোনো গ্রন্থে নিবদ্ধ হয় নাই। খৃষ্ট খৃষ্ট-জন্মোৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত ভাষণ, এবং নানা প্ৰবন্ধে চিঠিপত্রে অথবা অভিভাষণে খৃষ্ট ও খৃষ্টধর্ম প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের উক্তি যতদূর সংগৃহীত হইয়াছে মূলত তাঁহারই সংকলন হিসাবে গ্ৰন্থখানি প্রথম প্রকাশিত হয় ২৫ ডিসেম্বর ১৯৫৯ খৃষ্টাব্দে । রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে খৃষ্ট গ্রন্থের মূল প্ৰবন্ধ ও অভিভাষণগুলিই সংকলিত হইল, ‘খুষ্ট-প্রসঙ্গর রচনাংশগুলি অন্তর্ভুক্ত হইল না। “মানবপুত্র পুনশ্চ গ্রন্থের (রবীন্দ্র-রচনাবলী ১৬ : সুলভ ৮) অন্তর্গত হইয়াছে, সেজন্য বর্তমান খণ্ডে মুদ্রিত হইল না। ‘বড়োদিনী’ ও ‘পূজালয়ের অন্তরে ও বাহিরে ইতিপূর্বেরচনাবলীর কোনো খণ্ডে সংকলিত না হওয়ায় নিম্নে মুদ্রিত হইল । বড়েদিন’ একদিন যারা মেরেছিল তারে গিয়ে এ যুগে তারাই জন্ম নিয়েছে আজি ; মন্দিরে তারা এসেছে ভক্ত সাজি ঘাতক সৈন্যে ডাকি “মারো মারো” ওঠে হাকি । গৰ্জনে মিশে পূজামস্ত্রের স্বরমানবপুত্র তীব্র ব্যথায় কহেন, “হে ঈশ্বর ! এ পানিপাত্র নিদারুণ বিষে ভরা Κ দূরে ফেলে দাও, দূরে ফেলে দাও ত্বরা ।” বড়োদিন । ১৯৩৯ ১ প্রবাসী, মাঘ ১৩৪৬ । চতুর্থ বর্ষ প্রথম সংখ্যা ছায়াপথ পত্রে ভিন্নতর পাঠ মুদ্রিত।