পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br88 রবীন্দ্র-রচনাবলী অজিতকুমার চক্রবতী "ব্রহ্মবিদ্যালয়’ (১৩১৮) গ্রন্থে লিখিয়াছেন : “১৩১৬ সালে মহাপুরুষদিগের জন্ম কিংবা মৃত্যু দিনে তাহাদিগের চরিত ও উপদেশ -আলোচনার জন্য [শান্তিনিকেতনে] উৎসব করা স্থির হইল। খৃষ্টমাসে প্রথম খৃষ্টাৎসব হইল। তার পরে চৈতন্য ও কবীরের উৎসব হইয়াছিল। সকল মহাপুরুষকেই ভালো করিয়া জানিবার ও বুঝিবার সংকল্প হইতেই এ অনুষ্ঠানের সৃষ্টি।” এই সময় হইতে শান্তিনিকেতনে নিয়মিতভাবে খৃষ্ট-জন্মদিনে উৎসব অনুষ্ঠিত হইয়া আসিতেছে । যিশুচরিত : তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা, ভাদ্র ১৮৩৩ শক (১৩১৮) “শান্তিনিকেতন আশ্রমে ১৯১০ খৃষ্টাব্দের খৃষ্টাৎসবের দিনে কথিত বক্তৃতার সারমর্ম।” অজিতকুমার চক্রবতী -প্ৰণীত ‘খুষ্ট গ্রন্থের ভূমিকা-রূপে এই রচনা ব্যবহৃত । খৃষ্টধর্ম : সবুজপত্র, পৌষ ১৩২১ “খুষ্টজন্মদিনে শান্তিনিকেতন আশ্রমে কথিত ।” খৃষ্টাৎসব : শান্তিনিকেতন পত্র, চৈত্র ১৩৩০ মানবসম্বন্ধের দেবতা : বিচিত্রা, বৈশাখ ১৩৪০ এই অভিভাষণ প্রথমে “খুষ্টোৎসব’ নামে ১৩৩৮ আষাঢ়-শ্রাবণ সংখ্যা মুক্তধারা পত্রে প্ৰকাশিত হয় ; পরে ঈষৎ পরিবর্তিত রূপে ‘মানবসম্বন্ধের দেবতা’ নামে বিচিত্রা পত্রে প্রকাশ পায় ; তাহাই এই গ্রন্থে পুনরামুদ্রিত। বড়েদিন : প্রবাসী, মাঘ ১৩৩৯ , ২৫ ডিসেম্বর ১৯৩৯ তারিখে খৃষ্টদিবসের উদযাপন-উদ্দেশে রচিত গান । খৃষ্ট : প্রবাসী, চৈত্র ১৩৪৩ ৩-সংখ্যক ভাষণ প্রদ্যোতকুমার সেনগুপ্ত -কর্তৃক, ৫-সংখ্যক ভাষণ অমিয় চক্রবর্তী -কর্তৃক, ৪ ও ৬ সংখ্যক ভাষণ পুলিনবিহারী সেন -কর্তৃক অনুলিখিত এবং সমস্তই বক্তা -কর্তৃক সংশোধিত। ২-সংখ্যক প্রবন্ধটিও বক্তা-কর্তৃক সংশোধিত অনুলিপি হওয়া সম্ভব। ১-সংখ্যক বক্তৃতার সারমর্ম বক্তা-কর্তৃক বিস্তারিত আকারে পুনলিখিত বলিয়া অনুমিত । পল্লীপ্রকৃতি রবীন্দ্রনাথ-প্রতিষ্ঠিত শ্ৰীনিকেতনের আদর্শ ও উদ্দেশ্য -সূচক প্রবন্ধ ভাষণ ও পত্রাদির সংকলন। শ্ৰীনিকেতন-প্রতিষ্ঠার (২৩ মাঘ ১৩২৮) সাংবাৰ্ষিক উৎসবোপলক্ষে রবীন্দ্রশতপূর্তি বর্ষে প্রথম প্ৰকাশিত হয় ২৩ মাঘ ১৩৬৮ সালে । ভারতবর্ষে পল্লীসমস্যা ও পল্লীসংস্কার সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের বক্তৃতা ও প্ৰবন্ধাবলী পল্লীপ্ৰকৃতি গ্রন্থে সংকলিত । এই গ্রন্থে প্রবেশকরূপে ব্যবহৃত ‘ফিরে চল মাটির টানে গানটি, তৃতীয় ভাগের অন্তৰ্গত পত্রগুলি এবং দ্বিতীয় ভাগের অন্তৰ্গত৷ “শিক্ষার বিকিরণ প্ৰবন্ধটি রবীন্দ্র-রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে গৃহীত হইল না। প্রবন্ধটি শিক্ষা গ্রন্থের অন্তর্গত। রচনাবলীর পরবতী কোনাে খণ্ডে, “শিক্ষার যে প্ৰবন্ধগুলি রচনাবলীর অন্তর্ভুক্ত হয় নাই সেইগুলির সহিত, উক্ত প্ৰবন্ধটিও যুক্ত হইবে। গ্রন্থের প্রথম ভাগের অন্তর্গত সভাপতির অভিভাষণ কর্মযজ্ঞ’ ‘পল্লীসেবা” “গ্রামবাসীদের প্রতি প্ৰবন্ধগুলি ইতিপূর্বে বিভিন্ন গ্রন্থের অন্তর্গত হইয়া রবীন্দ্র-রচনাবলীর পূর্ববতী কয়েকটি খণ্ডে সন্নিবিষ্ট আছে বলিয়া বর্তমান খণ্ড রচনাবলীভুক্ত হইল না।