পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় br8° পৃথিবী বিদীর্ণ করে খাদ্য উদ্ধার করে ; মানুষের গীৈরব হচ্ছে সে আপন দেহের উপর চূড়ান্ত নির্ভর করে না, তার নির্ভর যন্ত্র-উদভাবনী বুদ্ধির উপর। এরই সাহায্যে শারীর কর্মে একজন মানুষ হয়েছে বহু মানুষ । গৌরবে বহুবচন । আজ আমরা একটা মিথ্যে কথা প্ৰায় বলে থাকিdignity of labour, অৰ্থাৎ শারীর শ্রমের সম্মান । অন্তরে অন্তরে মানুষ এটাকে আত্মবিমাননা বলেই জানে । আজ আমাদের উৎসবে আমরা হাল-লাঙলের অভিবাদন যদি করে থাকি তবে সেটা আপন উদভাবন-কৌশলের আদিম প্রকাশ বলে। সেইখানে খতম করতে বলা মনুষ্যত্বকে অপমানিত করা। চরকাকে যদি চরম আশ্রয় বলি তা হলে চরকাই তার প্রতিবাদ করবেআপন দেহশক্তির সহজ সীমাকে মানুষ মানে না। এই কথাটা নিয়ে চরকা পৃথিবীতে এসেছেসেই চরকার দোহাই দিয়েই কি মানুষের বুদ্ধিকে বেড়ার মধ্যে আটকাতে হবে। আজ দেখলুম। একটা বাংলা কাগজ এই বলে আক্ষেপ করছে যে, বেহারের ইংরেজ মহাজন কলের লাঙলের সাহায্যে চাষ শুরু করেছে, তাতে করে আমাদের চাষীদের সর্বনাশ হবে । লেখকের মত এই যে, আমাদের চাষীদের আধাপেটা খাওয়াবার জন্যে মানুষের বুদ্ধিশক্তিকে অনন্তকাল নিক্রিয় করে । রেখে দিতে হবে । লেখক এ কথা ভুলে গেছেন যে, চাষীরা বস্তুত মরছে নিজের জড়বুদ্ধি ও নিরুদ্যমের আক্রমণে । শান্তিনিকেতনে শিক্ষাব্যাপারে। আমি আর-আর অনেক প্রকারের আয়োজন করেছি- কিন্তু যে শিক্ষার সাহায্যে মানুষ একান্ত দৈহিক শ্রমপরতার অসম্মান থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে তার আয়োজন করতে পারলুম না। এই দুঃখ অনেক দিন থেকে আমাকে বাজছে। দেহের সীমা থেকে যে বিজ্ঞান আমাদের মুক্তি দিচ্ছে আজ যুরোপীয় সভ্যতা তাকে বহন করে এনেছে- একে নাম দেওয়া যাক বলরামদেবের সভ্যতা। তুমি জানো বলরামদেবের একটু মদ খাবারও অভ্যাস আছে, এই সভ্যতাতেও শক্তিমত্ততা নেই তা বলতে পারি নে, কিন্তু সেই ভয়ে শক্তিহীনতাকেই শ্রেয় গণ্য করতে হবে এমন মূঢ়তা আমাদের না হােক। ইতি ২৫ Ko S \OVOV পথে ও পথের প্রান্তে এই গ্রন্থের প্রথমভাগে মুদ্রিত অপর সকল রচনাই শ্ৰীনিকেতন বার্ষিক উৎসবে (৬ ফেব্রুয়ারি) বা হলকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ -উৎসবে কথিত ভাষণের অনুলিপি । ‘পল্লীপ্রকৃতি, অনুরূপ অনুলিপি অবলম্বনে কবি-কর্তৃক পরিবর্ধিত আকারে লিখিত হয় (মুদ্রণকালে আরো পরিবর্তন হয়)। অভিভাষণ : কলিকাতায় বিশ্বভারতী-সম্মিলনীতে এল. কে. এলমহারস্ট Robbery of the Soil” সম্বন্ধে একটি বক্তৃতা দেন, এই সভার সভাপতিরূপে রবীন্দ্রনাথের ভাষণ । সমবায়ে ম্যালেরিয়া-নিবারণ : “বিশ্বভারতী সম্মিলনী ও অ্যান্টি-ম্যালেরিয়াল সোসাইটির উদ্যোগে ২৯শে আগস্ট [ ১৯২৩] তারিখে কলিকাতার রামমােহন লাইব্রেরি গৃহে আহুত সভায় সভাপতির বক্তৃতা।” “সংহত্যি-সম্পাদক মুরলীধর বসু অনুগ্রহপূর্বক এই বক্তৃতার প্রতিলিপি "সংহতি হইতে আমাদের দেন ; তিনি আমাদের জানাইয়াছিলেন যে, এই অনুলিপি বক্তা-কর্তৃক সংশোধিত । ম্যালেরিয়া : “অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া কো-অপারেটিভ সোসাইটির চতুর্থ বার্ষিক সভায় সভাপতি রূপে প্রদত্ত বক্তৃতা । অ্যালফ্রেড থিয়েটার হল ২৩২। [১৯] ২৪ ।” অনুলিপি-পাঠে মনে হয়। যে উহা বক্তা-কর্তৃক সংশোধিত নহে। তৎসত্ত্বেও প্রসঙ্গানুরোধে যৎসামান্য আক্ষরিক সংশোধনে পুনমুদ্রিত হইল। বর্তমান প্রসঙ্গে সমাধান প্রবন্ধের (১৩৩০) অংশবিশেষ উদধূতিযোগ্য ১ প্রদ্যোতকুমার সেনগুপ্ত -কৃত অনুবাদ মাটির উপর দস্যবৃত্তি', শান্তিনিকেতন পত্র, ভাদ্র-আশ্বিন S\SRIð