পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থপরিচয় br(፩ S “ভগ্নহৃদয় সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ‘জীবনস্মৃতিতে লিখিয়াছেন— বিলাতে আর এক একটি কাব্যের পত্তন হইয়াছিল । কতকটা ফিরিবার পথে কতকটা দেশে ফিরিয়া আসিয়া ইহা সমাধা করি। “ভগ্নহৃদয়” নামে ইহা ছাপান হইয়াছিল।-- “ভগ্নহৃদয় যখন লিখতে আরম্ভ করেছিলেম। তখন আমার বয়স আঠারো ।” -প্রথম সংস্করণ, পৃ. ১২৭ এই পুস্তক সম্বন্ধে কয়েকটি কথা উল্লেখযোগ্য। বিখ্যাত “তোমারেই করিয়াছি জীবনের . ধ্রুবতারা” গানটি ‘ভারতী’তে “ভগ্নহৃদয়ের “উপহার”-রূপে মুদ্রিত হইয়াছিল । পুস্তকাকারে প্রকাশ করিবার সময় “উপহার”টি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হইয়াছে। “ভগ্নহৃদয়’ স্বতন্ত্রাকারে বিলুপ্ত হইলেও ইহার বহু অংশ সংগীতরূপে রবীন্দ্রনাথের নানা সংগীত ও কাব্য -সংগ্ৰহগ্রন্থে স্থান পাইয়া আসিতেছে । আজও গাওয়া হইয়া থাকে বা গাওয়া যাইতে পারে তাহা গীতবিতান, বিশেষত উহার প্রচল তৃতীয় খণ্ড (১৩৭৬ বা ১৩৭৯), দেখিলে বুঝা যাইবে । রবীন্দ্রনাথের প্রথম-প্রকাশিত “কাব্য গ্রন্থাবলীতে (আশ্বিন ১৩০৩) ভগ্নহৃদয়ের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব না থাকিলেও যেমন ইহার কয়েকটি গান আছে তেমনি ২২টি সর্গ হইতে (মোট সৰ্গসংখ্যা ৩৪) অন্যান ২৯টি রচনাংশ, স্বয়ংপূর্ণ কবিতা হিসাবে, “বাসকসজ্জা” “শ্যামা” “চাঞ্চল্য প্রভৃতি শিরোনামে “কৈশোরক” অংশে (দ্রষ্টব্য পৃঃ ৫-১৫) দেওয়া হইয়াছে। সুতরাং পূর্ণ বর্জনের অপমান এটিকে সহিতে হয় নাই। বস্তুত, নানা রূপে রূপান্তরে সামগ্রিক রবীন্দ্র-রচনাধারায় সূক্ষ্মভাবে ইহার সত্তা মিলিয়া মিশিয়া আছে। ভগ্নহৃদয় গ্ৰন্থ প্রকাশের শতবর্ষ পরে মাঘ ১৩৮৮ বঙ্গাব্দে রবীন্দ্ৰ পাণ্ডুলিপি-আধারিত বিচার-বিশ্লেষণ। -সংবলিত একটি স্বতন্ত্র গ্ৰন্থ শ্ৰীকানাই সামন্ত -কর্তৃক সংকলিত ও সম্পাদিত হইয়া প্ৰকাশিত হইয়াছে। রুদ্রচণ্ড “রুদ্রচণ্ড' কবির প্রথম নাটক (গীতনাট্য নহে)। ইহা ১৮০৩ শকে [ ২৫ জুন ১৮৮১] প্ৰকাশিত হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫৩। রুদ্রচণ্ড' পুনরামুদ্রিত হয় নাই। ইহার দুইটি গান গীতবিতানে তথা স্বরবিতানে সংকলিত ; উহাই সংক্ষিপ্ত ও সংহত আকারে “ফুলের ইতিহাস” নামে শিশু কাব্যে স্থান পাইয়াছে। । “রুদ্ৰচণ্ডের গান দুইটি ১৩০৩ সালে প্রকাশিত “কাব্য গ্রন্থাবলীর “কৈশোরক” অংশে স্থান পাইয়াছিল । এই গীতিনাট্য ১২৮৯ সালের অগ্রহায়ণ মাসে [ ৫ ডিসেম্বর ১৮৮২] প্ৰকাশিত হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা ৩৮। বর্তমানে ইহা তৃতীয় খণ্ড গীতবিতানে পুনরুমুদ্রিত। “বাল্মীকি-প্ৰতিভা’র দ্বিতীয় সংস্করণে সন্নিবিষ্টি “অনেকগুলি গান পরিবর্তিত আকারে অথবা বিশুদ্ধ আকারে ‘কাল-মৃগয়া” গীতিনাট্য হইতে গৃহীত ।” ২৩ ডিসেম্বর ১৮৮২ (শনিবার) তারিখে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের জোড়াসীকো-ভবনে ‘বিদ্বজনসমাগম’। সম্মিলন উপলক্ষে । ‘কালমৃগয়া অভিনীত হয়। রবীন্দ্রনাথ অন্ধ মুনি ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ দশরথের ভূমিকায় অভিনয় করিয়াছিলেন। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ‘জীবনস্মৃতিতে বলিয়াছেন