পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बैंकब्रि 为位创 লীলা । সোমশংকর হাতছাড়া হবার পরে বঁাশরির শখ গেল নর্থী-দণ্ডী-গোছের একটা লেখক পোষবার । হঠাৎ দেখি জোটালো, কোথা থেকে আস্ত একজন কাচা সাহিত্যিক। সেদিন উৎসাহ পেয়ে লোকটা শোনাতে এসেছে একটা নূতন লেখা । জয়দেব-পদ্মাবতীকে নিয়ে তাজা গল্প। জয়দেব দূর থেকে ভালোবাসে রাজমহিষী পদ্মাবতীকে। রাজবধুর যেমন রূপ তেমনি সাজসজ্জা, তেমনি বিস্তেসাধ্যি। অর্থাৎ এ কালে জন্মালে সে হত ঠিক তোমারই মতো শৈল। এ দিকে জয়দেবের স্ত্রী ষোলোআন গ্রাম্য, ভাষায় পানাপুকুরের গন্ধ, ব্যবহারটা প্রকাশ্বে বর্ণনা করবার মতো নয়, যে-সব তার বীভৎস প্রবৃত্তি— ড্যাশ দিয়ে ফুটকি দিয়েও তার উল্লেখ চলে না। লেখক শেষকালটায় খুব কালো কালিতে দেগে প্রমাণ করেছে যে, জয়দেব স্বব, পদ্মাবতী মেকি, একমাত্র খাটি সোনা মন্দাকিনী । বঁাশরি চৌকি ছেড়ে দাড়িয়ে তারম্বরে বলে উঠল, ‘মাস্টরপীস I" ধষ্ঠি মেয়ে ! একেবারে সাব্লাইম ম্ভাকামি । শচীন। মানুষটা চুপসে চ্যাপটা হয়ে গেল বোধ হয়। লীলা । উলটো। বুক উঠল ফুলে। বললে, ‘শ্ৰীমতী বঁাশরি, মাটি খোড়বার কোদালকে আমি খনিত্ৰ নাম দিয়ে শুদ্ধ করে নিই নে, তাকে কোদালই বলি।’ বঁাশরি বলে উঠল, তোমার খেতাব হওয়া উচিত— নব্যসাহিত্যের পূর্ণচন্দ্র, কলঙ্কগর্বিত। ওর মুখ দিয়ে কথা বেরোয় যেন আতসবাজির মতো । শচীন । এটাও লোকটার গলা দিয়ে গলল ? বাধল না ? লীলা। একটুও না। চায়ের পেয়ালায় চামচ নাড়তে নাড়তে ভাবল, আশ্চর্য করেছি, এবার মুগ্ধ করে দেব। বললে, ‘শ্ৰীমতী বঁাশরি, আমার একটা থিওরি আছে। দেখে নেবেন একদিন ল্যাবরেটারিতে তার প্রমাণ হবে । মেয়েদের জৈবকণায় যে এনার্জি থাকে সেটা ব্যাপ্ত সমস্ত পৃথিবীর মাটিতে। নইলে পৃথিবী হত বন্ধ্য।’ আমাদের সর্দার-নেকি শুনেই এতখানি চোখ করে বললে, ‘মাটিতে ! বলেন কী ক্ষিতীশবাবু মেয়েদের মাটি করবেন না। মাটি তো পুরুষ। পঞ্চভূতের কোঠায় মেয়ে যদি কোথাও থাকে সে জলে । নারীর সঙ্গে মেলে বারি। স্থূল মাটিতে সূক্ষ্ম হয়ে সে প্রবেশ করে, কখনো আকাশ থেকে নামে বৃষ্টিতে, কখনো মাটির তলা থেকে ওঠে ফোয়ারায়, কখনো কঠিন হয় বরফে, কখনো ঝরে পড়ে ঝরনায়। ষা বলিস ভাই শৈল, বঁাশি কোথা থেকে কথা আনে জুটিয়ে, ভগীরথের গঙ্গার মতো, ছাপ ধরিয়ে দিতে পারে ঐরাবত হাতিটাকে পর্যন্ত । چاپ =" শচীন। ক্ষিতীশ সেদিন ভিজে কাদা হয়ে গিয়েছিল বলে ! লীলা। সম্পূর্ণ। বাশি আমার দিকে ফিরে বললে, ‘তুই তো এম. এসসিতে