পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बैं★ब्रेि SఆS ফ্রক পরা, চশমা চোখে, বেশী দোলানো, দ্রুতপদে-চলা এগারো বছরের মেয়ে | স্বৰ্ষীমা । সন্ন্যাসীবাবা আসছেন, শংকরদ । তোমাকে ডেকে পাঠালেন সবাই । তুমি আসবে না, বাশিদিদি ? বাশরি। আসব বইকি, আসার সময় হোক আগে। [ সোমশংকর ও স্বীমার প্রস্থান ক্ষিতীশ, শুনে যাও । চোখ আছে ? দেখতে পাচ্ছ কিছু কিছু ? ক্ষিতীশ । রঙ্গভূমির বাইরে আমি। আওয়াজ পাচ্ছি, রাস্ত পাচ্ছি নে । বঁাশরি। বাংলা উপন্যাসে নিযুমার্কেটের রাস্তা খুলেছ নিজের জোরে আলকাতরা ঢেলে। এখানে পুতুলনাচের রাস্তাটা বের করতে তোমারও অফীশিয়াল গাইড চাই ! লোকে হাসবে যে | ক্ষিতীশ । হামুক-না। রাস্তা না পাই, আমন গাইডকে তো পাওয়া গেল । বঁাশরি। রসিকতা ! সস্ত মিষ্টান্নের ব্যাবসা ! এজন্তে ডাকি নি তোমাকে । সত্যি করে দেখতে শেখে, সত্যি করে লিখতে শিখবে । চারি দিকে অনেক মানুষ আছে, অনেক অমানুষও আছে, ঠাহর করলেই চোখে পড়বে। দেখো দেখো, ভালো করে দেখো । ক্ষিতীশ । নাই বা দেখলেম, তোমার তাতে কী । বঁাশরি। নিজে লিখতে পারি নে যে, ক্ষিতীশ । চোখে দেখি, মনে বুঝি, স্বর বন্ধ, ব্যর্থ হয় যে সব। ইতিহাসে বলে, একদিন বাঙালি কারিগরদের বুড়ো আঙুল দিয়েছিল কেটে। আমিও কারিগর, বিধাতা বুড়ে আঙল কেটে দিয়েছেন। আমদানি-কর মালে কাজ চালাই, পরখ করে দেখতে হয় সেটা সাচ্চা কি না । তোমরা লেখক, আমাদের মতো কলমহারাদের জন্তেই কলমের কাজ তোমাদের । দেখবামাত্র বিস্ময় লাগে। চেহারা সতেজ সবল সমুন্নত । রঙ যাকে বলে কনকগেীর, ফিকে চাপার মতো, কপাল নাক চিবুক যেন কুঁদে তোলা। স্বৰ্যমা। (ক্ষিতীশকে নমস্কার করে ) ৰাশি, কোণে লুকিয়ে কেন । বঁাশরি। কুনো সাহিত্যিককে বাইরে আনবার জন্ত । খনির সোনাকে শামে 있8》》