পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৪ রবীন্দ্র-রচনাবলী মেয়েদের খেলো করা হল, অর্থাৎ তাদের মন্ত্রশক্তিতে বোকাদের মনে খটকা লাগানে। হচ্ছে। উঁচুদরের পুরুষ পাঠকও গাল পাড়বে। বল কী, তাদের মাইখলজির রঙ চটিয়ে দেওয়া ! সর্বনাশ ! কিন্তু ভয় কোরো না ক্ষিতীশ, রঙ যখন যাবে জলে, মন্ত্র পড়বে চাপা, তখনো সত্য থাকবে টিকে, শেলের মতো, শূলের মতো। ক্ষিতীশ । শ্ৰীমতী সুষমার হৃদয়ের বর্তমান ঠিকানাটা জানতে পারি কি । বঁাশরি। ঠিকানা বলতে হবে না, নিজের চোখেই দেখতে পাবে যদি চোখ থাকে। এখন চলো ঐ দিকে । ওরা টেনিস-খেলা সেরে এসেছে। এখন আইসক্রিম পরিবেশনের পালা । বঞ্চিত হবে কেন । * f [ উভয়ের প্রস্থান ऊठौझ क्रूंश्] বাগানের এক দিক ৷ খাবার-টেবিল ঘিরে বসে আছে তারক, শচীন, সুধাংশু, সতীশ ইত্যাদি । 轉 তারক। বাড়াবাড়ি হচ্ছে সন্ন্যাসীকে নিয়ে। নাম পুরন্দর নয়, সবাই জানে । আসল নাম ধরা পড়লেই বোকার ভিড় পাতলা হয়ে যেত। দেশী কি বিদেশী তা নিয়েও মতভেদ । ধর্ম কী জিজ্ঞাসা করলে হেসে বলে, ধর্মটা এখনো মরে নি তাই তাকে নামের কোঠায় ঠেসে দেওয়া চলে না। সেদিন দেখি, আমাদের হিমুকে গলফ শেখাচ্ছে। হিমুর জীবাত্মাটা কোনোমতে গলফের গুলির পিছনেই ছুটতে পারে, তার বেশি ওর দৌড় নেই, তাই সে ভক্তিতে গদগদ । মিস্টিরিয়স সাজের নানা মালমশলা জুটিয়েছে। আজ ওকে আমি একসূপোজ করব সবার সামনে, দেখে নিয়ো । স্বধাংশু। প্রমাণ করবে, তোমার চেয়ে যে বড়ো সে তোমার চেয়ে ছোটে ! সতীশ । আঃ সুধাংশু, মজাটা মাটি করিস কেন। পকেট বাজিয়ে ও বলছে ডকুমেণ্ট আছে। বের করুক-না, দেখি কী রকম চীজ সেটা। ঐ যে সন্ন্যাসী, সঙ্গে আসছেন এরা সবাই । মুখের স্বচ্ছ রঙ পাণ্ডুর শ্যাম— অস্তর থেকে বিচ্ছুরিত দীপ্তিতে ধৌত। দাড়িগোফ কামানো, সুডৌল মাথায় ছোটাে করে ছাটা চুল, পায়ে নেই জুতো,