পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बैंiथjब्रि ›ዊጫ শৈল । না, দেখি নি তো । i সতীশ । আঃ, বানিয়ে বলো-না কেন। বড়ো নিষ্ঠুর তুমি । আমার দিনটা মধুর হয়ে উঠত তা হলে। শৈল। তোমাদের ফরমাশে নিজেকে স্বপ্ন করে বানাতে হবে । আমরা যা, শুধু তাই নিয়ে তোমাদের মন খুশি হয় না কেন । সতীশ । খুব হয়, এই-যে সাক্ষাৎ এসেছ এর চেয়ে আর কিসের দরকার। শৈল। আমি এসেছি বঁাশরির কাছে । সতীশ । ঐ দেখো, আবার একটা সত্য কথা । সদ্য বিছানা থেকে উঠেই দু-দুটো থাটি সত্য কথা সহ্য করি এত মনের জোর নেই। ধর্মরাজ মাপ করতেন তোমাকে যদি বলতে আমারই জন্ত এসেছ । শৈল। ব্যারিস্টার মানুষ, তুমি বড়ড লিটরল। বঁাশরির কাছে আসতে চেয়েছি বলে তোমার কাছে আসবার কথা মনে ছিল না এটা ধরে নিলে কেন । সতীশ । খোটা দেবার জন্যে। বাশির সঙ্গে কথা আছে কিছু ? আমাদের লগ্ন স্থির করবার পরামর্শ ? শৈল। না, কোনো কথা নেই। ওর জন্ত বড়ো মন খারাপ হয়ে থাকে। মনের মধ্যে মরণবাণ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে অথচ কবুল করবার মেয়ে নয়। ওর ব্যথায় হাত বুলোতে গেলে ফোস করে ওঠে, সেটা ষেন সাপের মাথার মণি । তাই সময় পেলে কাছে এসে বসি, যা তা বকে যাই। পরশুদিন সকালে এসেছিলুম ওর ঘরে। পায়ের শব্দ পায় নি। ওর সামনে এক বাণ্ডিল চিঠি । ডেস্কে ঝুকে পড়ছিল বসে, বেশ বুঝতে পারলুম চোখ দিয়ে জল পড়ছে। যদি জানত আমি দেখতে পেয়েছি তা হলে একটা কাও বাধত, বোধ হয় আমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যেত। আস্তে আস্তে চলে গেলুম। কিন্তু, সেই ছবি আমি ভুলতে পারি নে। বাশি গেল কোথায় । খানসামা চায়ের সরঞ্জাম রেখে গেল সতীশ । বাশি এইমাত্র বেরিয়ে গেছে, ভাগ্যিস গেছে । শৈল । ভারি স্বার্থপর তুমি । সতীশ । অত্যন্ত । ও কী, উঠছ কেন । চা তৈরি শুরু করে । শৈল । খেয়ে এসেছি । সতীশ । তা হোক-না, আমি তো খাই নি । বসে খাওয়াও আমাকে । কবিরাজী মতে একলা চা খাওয়া নিষেধ, ওতে বায়ু প্ৰকুপিত হয়ে ওঠে। শৈল । মিথ্যে আবদার কর কেন । ఫ్చి 8 ఫి