পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঁশরি ১৯৭ বঁাশরি। আজ অভয় দিচ্ছে সে । আপন অন্তরের মধ্যে সে আপনি পেয়েছে দীক্ষা । তার বন্ধন ঘুচেছে, সে আর বঁাধবে না। পুরন্দর। তবে আজ যাবার দিনে নি:সংকোচে তারই হাতে রেখে গেলেম সোমশংকরের দুর্গম পথের পাথেয়। বঁাশরি। এতদিন আমার যত প্রণাম বাকি ছিল সব একত্র করে আজ এই দিলেম তোমার পায়ে । পুরন্দর। আর আমি দিয়ে গেলেম তোমাকে একটি গান তোমার কণ্ঠে সেটিকে গ্রহণ করো। গান পিনাকেতে লাগে টংকার— বসুন্ধরার পঞ্চরতলে কম্পন জাগে শঙ্কার । আকাশেতে ঘোরে ঘূর্ণ স্বাক্টর বাধ চুণি, বজ্রভীষণ গর্জনরব প্রলয়ের জয়ডস্কার । স্বৰ্গ উঠিছে ক্রনি, সুরপরিষদ বন্দী, তিমিরগহন দুঃসহ রাতে উঠে শৃঙ্খলঝংকার। নবদম্ভ তর্জি’ রুদ্র উঠিল গর্জি, লণ্ডভণ্ড লুটিল ধুলায় অভ্ৰভেদী অহংকার।