পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"לל রবীন্দ্র-রচনাবলী কিন্তু এ নির্লজ্জ কারা। কালের উপেক্ষাবৃষ্টি-কাছে না থেকেও তৰু আছে। একি আত্মবিস্মরণমোহ, বীর্যহীন ভিত্তি-পরে কেন রচে পুস্ত সমারোহ। রাজ্যহীন সিংহাসনে অত্যুক্তির রাজা, বিধাতার সাজা । হোথা যারা মাটি করে চাষ রৌদ্রবৃষ্টি শিরে ধরি বারো মাস, ওরা কভু আধামিথ্যা রূপে সত্যেরে তো হানে না বিন্দ্রপে । ওরা আছে নিজ স্থান পেয়ে ; দারিদ্র্যের মূল্য বেশি লুপ্তমূল্য ঐশ্বর্ষের চেয়ে । এদিকে চাহিয়া দেখো টিটাগড় । লোষ্ট্রে লোঁহে বন্দী হেথা কালবৈশাখীর পণ্যঝড় । বণিকের দত্তে নাই বাধা, আসমূদ্র পৃথ্বীতলে দৃপ্ত তার অক্ষুণ্ণ মর্যাদা । প্রয়োজন নাহি জানে ওরা ভূষণে সাজায়ে হাতিঘোড়া সম্মানের ভান করিবার, ভুলাইতে ছদ্মবেশী সমুচ্চ তুচ্ছতা আপনার । শেষের পংক্তিতে যবে থামিবে ওদের ভাগ্যলিখা, নামিবে অস্তিম যবনিকা, উত্তাল রজতপিও-উদ্ধারের শেষ হবে পালা, যন্ত্রের কিঙ্করগুলো নিয়ে ভস্মডাল লুপ্ত হবে নেপথ্যে যখন, পশ্চাতে যাবে না রেখে প্রেতের প্রগলভ প্রহসন। উদাত্ত যুগের রথে বঙ্গাধর সে রাজপুতান মরুপ্রস্তরের স্তরে একদিন দিল মুষ্টি হান ;