পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 8ఫిలి কালান্তর পরিচয় ১৩৪ ও শ্রাবণ বিবেচনা ও অবিবেচনা সবুজপত্র ১৩২১ বৈশাখ লোকহিত সবুজপত্র , ১৩২১ ভাদ্র লড়াইয়ের মূল সবুজপত্র ১৩২১ পৌষ ছোটো ও বড়ো প্রবাসী ১৩২৪ অগ্রহায়ণ বাতায়নিকের পত্র প্রবাসী ১৩২৬ আষাঢ় শক্তিপূজা প্রবাসী ১৩২৬ কার্তিক সত্যের আহবান প্রবাসী ১৩২৮ কাতিক সমস্যা প্রবাসী ১৩৩০ অগ্রহায়ণ সমাধান প্রবাসী ১৩৩০ অগ্রহায়ণ শূদ্রধর্ম প্রবাসী ১৩৩২ অগ্রহায়ণ বৃহত্তর ভারত প্রবাসী ১৩৩৪ শ্রাবণ হিন্দুমুসলমান শাস্তিনিকেতন ১৩২৯ শ্রাবণ নারী প্রবাসী ১৩৪৩ অগ্রহায়ণ ‘ছোটো ও বড়ো প্রবন্ধে, বর্তমান খণ্ডের ২৮৩ পৃ ১০ ছত্রে ‘ছোটো ইংরেজের জোর কত' ইত্যাদি বাক্যের পূর্বে, এই অতিরিক্ত রচনাংশ প্রবাসীতে ছিল— দৃষ্টান্তগুলো একবার আবৃত্তি করিয়া দেখা যাক। ধরিয়ালও আনি বেসান্ট অপরাধী। কিন্তু আনি বেসান্টকে বড়ো ইংরেজ ক্ষমা করিয়াছেন। ছোটো ইংরেজ তাই লইয়া আজও গর্জাইতেছে । অপ্রিয় হইলেও accomplished factকে শেলের মতো বুকে বিধাইয়া গোপালের মতো চুপ করিয়া থাকিতে মলি আমাদিগকে পার্টিশেনের সময় উপদেশ দিয়াছিলেন । ছোটো ইংরেজকে ইস্কুলমাস্টারের গম্ভীর গলায় সে উপদেশ দিতে কেহ সাহসই করে না। তাই তারা এই ক্ষমার কথা লইয়া পার্লামেণ্টে পর্যন্ত ক্ষণে ক্ষণে ভূমিকম্প বাধাইতেছেন। ইহারা ক্ষমা করার অপরাধ কোনোমতেই ভূলিতে পারেন না, কিন্তু নির্বিচারে শাস্তি দিবার জন্ত ইহার কারো কৈফিয়ত তলব করেন না। তারা বলেন শাস্তি যখন দেওয়া হইয়াছে তখন ধরিয়া লইতে হইবে অপরাধ আছেই । যে তাহাতে আপত্তি করে সে extremist । আবার দেখো, পাঞ্জাবের ছোটোলাট বড়োলাট-সভার রাজতক্তের পাশে দাড়াইয়া ভারতের প্রজাদের সম্বন্ধে মুখ সামলাইয়া কথা কহেন নাই, সেজন্ত কর্তৃপক্ষ খুব মুদুম্বরে তাহাকে উপদেশ দিয়াছিলেন। ইহারই খেদ ছোটো-ইংরেজ কিছুতেই ভুলিতে পারেন না। অথচ