পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোমক । ঋত্বিক । কাহিনী এখনো হৃদয়ে হানে কৌতুক-উল্লাস । রয়েছে তোমার কণ্ঠে মর্তরাগিণীর সকল মূৰ্ছনা, সুখদুঃখকাহিনীর করুণ কম্পন ।। কহ তব বিবরণ মানবভাষায় । হে ছায়াশরীরীগণ, সোমক আমার নাম, বিদেহভূপতি । বহু বর্ষ আরাধিয়া দেবদ্বিজযতি, বহু যাগযজ্ঞ করি, প্ৰাচীন বয়সে এক পুত্ৰ লভেছিনু— তারি মেহবশে রাত্রিদিন আছিলাম আপনা-বিস্মৃত । সমস্ত-সংসারসিন্ধু-মথিত অমৃত ছিল সে আমার শিশু ! মোর বৃন্ত ভরি একটি সে শ্বেতপদ্ম, সম্পূৰ্ণ আবরি ছিল সে জীবন মোর । আমার হৃদয় ছিল তারি মুখ-পরে সূর্য যথা রয় ধরণীর পানে চেয়ে । হিমবিন্দুটিরে পদ্মপত্র যত ভয়ে ধরে রাখে শিরে সেইমত রেখেছিনু তারে । সুকঠোর ক্ষত্রধর্ম রাজধর্ম মোহপানে মোর চাহিত সরোষ চক্ষে ; দেবী বসুন্ধরা রাজলক্ষ্মী হত লজ্জামুখী । সভামাকে একদা অমাতা-সাথে ছিনু রাজকাজে, হেনকালে অন্তঃপুরে শিশুর ক্ৰন্দন পশিল আমার কৰ্ণে । ত্যজি সিংহাসন দ্রুত ছুটে চলে গেনু ফেলি সর্বকাজ । সে মুহুর্তে প্ৰবেশিদুনু রাজসভামাঝি আশিস করিতে নৃপে ধান্যদূর্বকরে আমি রাজপুরোহিত । ব্যগ্রতার ভরে আমারে ঠেলিয়া রাজা গেলেন চলিয়া, অর্ঘ্য পড়ি গেল ভূমে । উঠিল জুলিয়া ব্ৰাহ্মণের অভিমান । ক্ষণকাল-পরে ফিরিয়া আসিলা রাজা লজিত-অন্তরে । আমি শুধালেম তীরে, ‘কহাে হে রাজন, কী মহা অনৰ্থপাত দুৰ্দৈবঘটন ঘটেছিল, যার লাগি ব্ৰাহ্মণেরে ঠেলি অন্ধ অবজ্ঞার বশে, রাজকর্ম ফেলি, না শুনি বিচারপ্রার্থী প্রজাদের যত আবেদন, পররাষ্ট্র হতে সমাগত Σ Σ Σ