পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) RV) রবীন্দ্র-রচনাবলী আহা রানীদিদি, ধন্য তোরে, এত রেখেছিস স্মরণ করে । এমন বুদ্ধি আর কি আছে, এড়ায় না কিছু তোমার কাছে । সাধ্য কি আছে সে তার বাবার ? কিন্তু কখনো আমার সে জেঠি। মরেনি পূর্বে মনে রেখে সেটি । কল্যাণী । মরেও নি বটে, জন্মে নি কভু । ক্ষীরো। এমন বুদ্ধি দিদি তোর, তবু সে বুদ্ধিখানি কেবলই খেলায় অনুগত এই আমারই বেলায় ? কল্যাণী । চেয়ে নিতে তোর মুখে ফোটে কাটা ! না বললে নয় মিথ্যে কথাটা ? ধরা পড় তবু হও না জব্দ ? ক্ষীরো । ‘দাও দাও” ও তো একটা শব্দ, ওটা কি নিত্যি শোনায় মিষ্টি ? মাঝে মাঝে তাই নতুন সৃষ্টি করতেই হয় খুড়ি-জেঠিমার । জান তো সকলি তবে কেন আর লজা দেওয়া ? কল্যাণী । অমনি চেয়ে কি পাস নি কখনো তাই বল দেখি ? ক্ষীরো । মরা পাখিরেও শিকার করে তবে তো বিড়াল মুখেতে পোরে। সহজেই পাই, তবু দিয়ে ফাকি স্বভাবটাকে যে শান দিয়ে রাখি । বিনা প্রয়োজনে খাটাও যাকে প্রয়োজনকালে ঠিক সে থাকে । সত্যি বলছি মিথ্যে কথায় তোমারও কাছোতে ফল পাওয়া যায় । কল্যাণী । এবার পাবে না। ক্ষীরো । আচ্ছা, বেশ তো, সেজন্যে আমি নইকো ব্যস্ত । আজ না হয় তো কাল তো হবে, ততখন মোর সবুর সবে । গা ছুঁয়ে কিন্তু বলছি তোমার খুড়িটার কথা তুলব না। আর । কল্যাণীর হাসিয়া প্ৰস্থান হরি বলে মন! পরের কাছে আদায় করার সুখও আছে,