পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N 8V রবীন্দ্র-রচনাবলী তার মধ্যে বাক্যহীনা কে সে অভাগিনী অতৃপ্ত মেহম্মুকুধার সহস্ৰ নাগিনী জাগায়ে জর্জর বক্ষে- কাহার নয়ন কহিলেন “রাজকুলে জন্ম নহে, যার অর্জনের সাথে যুদ্ধে নাহি অধিকার’— আরক্ত আনত মুখে না রহিল বাণী, দাড়ায়ে রহিলে, সেই লজা-আভাখনি দহিল যাহার বক্ষ অগ্নিসম তেজে কে সে অভাগিনী । অর্জনজাননী সে যে । পুত্র দুৰ্য্যোধন। ধন্য, তখনি তোমারে । অঙ্গরাজ্যে কৈল অভিষেক । ধন্য তারে । উদ্দেশে তোমারি শিরে উচ্ছসিল আসি অভিষেক-সাথে । হেনকালে করি পথ রঙ্গমাঝে পশিলেন সূত অধিরথ আনন্দবিহবল ৷ তখনি সে রাজসাজে অভিষেকসিক্ত শির লুটায়ে চরণে সূতাবৃদ্ধে প্ৰণমিলে পিতৃসম্ভাষণে । ক্রুর হাস্যে পাণ্ডবের বন্ধুগণ সবে ধিক্কারিল ; সেইক্ষণে পরম গরবে: বীর বলি যে তোমারে ওগো বীর্যমণি, আশিসিল, আমি সেই অর্জনজাননী । প্ৰণমি তোমারে আর্যে। রাজমাতা তুমি, কেন হেথা একাকিনী । এ যে রণভূমি, আমি কুরুসেনাপতি । পুত্র, ভিক্ষা আছেবিফল না ফিরি যেন । ভিক্ষা, মোর কাছে ! আপন পৌরুষ ছাড়া, ধর্ম ছাড়া আর যাহা আজ্ঞা কর দিব চরণে তোমার । এসেছি তোমারে নিতে । কোথা লবে মোরে ! তৃষিত বক্ষের মাঝে— লব মাতৃক্ৰোড়ে । পঞ্চপুত্রে ধন্য তুমি, তুমি ভাগ্যবতী, আমি কুলশীলহীন ক্ষুদ্র নরপতি মোরে কোথা দিবে স্থান । সর্ব-উচ্চভাগে ܝ