পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शभाकोठूक ) Vad কুঞ্জবিহারী। (উষ্ণভাবে।) তবে তাই খাও গে যাও । কেবল মুঠো মুঠো কতকগুলো ভাত ডাল আর চড়ি গেলো গে যাও । এখানে তোমাদের অনধিকার প্রবেশ। বশম্বদ । সেগুলো কোথায় পাওয়া যাবে মশায় ! আমি এখনই যাচ্ছি। (কুঞ্জবাবুকে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইতে দেখিয়া) কুঞ্জবাবু আপনি ঠিক বলেছেন, আপনার এই বাগানের হাওয়া খেলেই পেট ভরে যায়। আর কিছু খেতে ইচ্ছে করে না । কুঞ্জবিহারী। এ কথা আপনার মুখে শুনে খুশি হলুম, এই হচ্ছে যথার্থ মানুষের মতো কথা। চলুন, বাইরে চলুন ; এমন বাগান থাকতে ঘরে কেন ? বশম্বদ । চলুন ! (আপন মনে মৃদুস্বরে) হিমের সময়টা— গায়েও একখানা কাপড় নেই— কুঞ্জবিহারী। বা— শরৎকালের কী মাধুরী ! বশম্বদ । তা ঠিক কথা । কিন্তু কিছু ঠাণ্ড । কুঞ্জবিহারী । (গায়ে শাল টানিয়া) কিছুমাত্র ঠাণ্ডা নয়। বশম্বদ । না, ঠাণ্ডা নয়। (হিহিহি কম্পন) কুঞ্জবিহারী । (আকাশে চাহিয়া) বা বা বা— দেখে চক্ষু জুড়োয়। খণ্ড খণ্ড সাদা মেঘগুলি নীল আকাশ-সরোবরে রাজহংসের মতো ভেসে বেড়াচ্ছে, আর মাঝখানে চাঁদ যেন— বশম্বদ | (গুরুতর কাশি) খক খক খ্যক খ্যক ! কুঞ্জবিহারী । মাঝখানে চাঁদ যেনবশম্বদ। খন খন খক খক ! কুঞ্জবিহারী । (ঠেলা দিয়া) শুনছেন বশম্বন্দবাবু- মাঝখানে চাঁদ যেন— বশম্বদ । রসূন একটু— খক খক খন খন ঘড়া ঘড়া ! কুঞ্জবিহারী । (চটিয়া উঠিয়া) আপনি অত্যন্ত বদলোক। এরকম করে যদি কাশতে হয় তো আপনি ঘরের কোণে গিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে পড়ে থাকুন। এমন বাগান— বশম্বদ । (সভয়ে প্ৰাণপণে কাশি চাপিয়া) আজ্ঞে, আমার আর কিছু নেই। (স্বগত) অর্থাৎ কম্বলও নেই, কাথাও নেই | কুঞ্জবিহারী । এই শোভা দেখে আমার একটি গান মনে পড়ছে। আমি গাই— সু-উ-উন্দর উপবন বিকশিত তরু-উগণ মনােহর বকু— বশম্বদ । (উৎকট ইচি) হ্যাচ্ছেঃ ! কুঞ্জবিহারী। মনোহর বকু বশম্বদ | হ্যাচ্ছেঃ- হঁ্যাচ্ছেঃ কুঞ্জবিহারী । শুনছেন ? মনোহর বকু— বশম্বদ | হ্যাচ্ছেঃ হ্যাচ্ছেঃ ! কুঞ্জবিহারী । বেরোও আমার বাগান থেকে— বশম্বদ। রসুন— হ্যাচ্ছেঃ ! কুঞ্জবিহারী। বেরোও এখেন থেকে বশম্বদ | এখনি বেরোচ্ছি- আমার আর এক দণ্ডও এ বাগানে থাকবার ইচ্ছে নেই- আমি না বেরোলে আমার মহাপ্ৰাণী বেরোবেন । হ্যাচ্ছেঃ ! শরৎকালের মাধুরী আমার নাক-চােখ দিয়ে বেরোচ্ছে। প্ৰাণটা সুদ্ধ হেঁচে ফেলবার উপক্রম। হ্যাচ্ছেঃ হ্যাচ্ছেঃ ! খক খক! কিন্তু কুঞ্জবাবু, সেই ओ श—ि शै(छः !