পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brS রবীন্দ্র-রচনাবলী জয়নারায়ণ | কিছু নেই, কোনো বালাই নেই, কোনো উৎপাত নেই। কেবল এক খুড়তুতো ভাই ऊष्ट्र- उठी, (न९3 @ळ दळीं । দৌলত। তা বটে। তার কিছু আছে ? জয় । কিছু না, কোনো ঝঞ্ঝাট না । কেবল দুই স্ত্রী ও চারটি শিশুসন্তান ; তারাও এল বলে। এতক্ষণ এসে পড়ত ; যাত্রা করবার বেলা দুই স্ত্রীতে চুলেচুলি বেধে গেছে, তাই যা দেরি। দৌলত । কানাই, কী করা যায় ! জয়নারায়ণ । তোমাকে কিছুই করতে হবে না— তারা আপনারাই আসবে, ভাবনা কী দৌলত ! এত অল্পে কাতর হােয়ো না । তারা আজ সন্ধ্যার মধ্যেই এসে পৌছবে | রামচরণের প্রবেশ ও ভূমিষ্ঠ হইয়া দৌলতকে প্ৰণাম রামচরণ। মামা, তোমার বক্তৃতায় বড়ো লজ্জা দিয়েছ। দৌলত। কে হে বাপু, কে তুমি ? রামচরণ। আজ্ঞে, আপনারই ভাগনে রামচরণ । ইস্টিশনে লোক পাঠিয়ে দিন- সেখেনে একটি পুঁটুলি আর বুড়ি মাকে রেখে এসেছি। দৌলত । এখানে কী করতে আসা ? রামচরণ | বাস করতে । দৌলত । আর কোথাও বাসস্থান নেই ? রামচরণ । আমনি একরকম আছে বটে, কিন্তু সেখানে স্বাৰ্থত্যাগ শিক্ষা হয় না । দৌলত । (ভীতভাবে) কানাই ! কানাই। আপনার উপদেশ উনি যেরকম দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করেছেন ওঁকে বোধ হয় নড়ানো শক্ত হবে । নিতাইয়ের প্রবেশ নিতাই। দাদা, চাকরি ছেড়ে এলুম, নইলে তোমার যে নিন্দে হয়। কে আছিস রে ! ঝট করে দুটাে ডাব পেড়ে নিয়ে আয় তো । বড়ো পিপাসা লেগেছে। নদেরচাদ । এই লও খুড়ো, আমার সমস্ত স্বাৰ্থ বিসর্জন দিতে এসেছি। এই আমার ভাঙা বােকনাে, থেলো ইকো আর এই বেড়ালছানাটি । এর মধ্যে ও-দুটাে পৈতৃক সম্পত্তি, বেড়ালছানা আমার স্বেপার্জিত। আর আমায় দোষ দিতে পারবে না, তোমার এখানেই আমি লেগে রইলুম। দর্জির প্রবেশ দৌলত। তুমি আমার কে হও বাপু ? দর্জি। আজ্ঞে আমি দর্জি, আপনার গায়ের মাপ নিতে এসেছি। দৌলত | এখন যাও, টানাটানির সময় । এখন আমি কাপড় করাতে পারব না । নদেরচাঁদ । খলিফাজি, যাও কোথায়। আমার গায়ের মাপটা নেও । খুড়ার গায়ে যেরকম ফুলকাটা ছিটের জামা দেখছি অমনি ছ-জোড়া হলেই আমার চলে যাবে। যদি বেশ ভালো রকম করে তৈরি করে দিতে পার তো খুড়ো তোমাকে খুশি করে দেবেন, বুঝেছ খলিফাজি ? দর্জি। যে আজ্ঞে । NGRIK AN9-GE8