পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতালি দৈবযোগে ঝলি উঠে বিদ্যুতের আলো, যারেই দেখিতে পাই তারে বাসি ভালোতাহারে ডাকিয়া বলি- ধন্য এ জীবন, তোমারি লাগিয়া মোর এতেক ভ্ৰমণ । অন্ধকারে আর সবে আসে যায় কাছে, জানিতে পারি নেতারা আছে কি না আছে। २२5 S७०२ 莎 চৈত্রের মধ্যাহ্নবেলা কাটিতে না চাহে । তৃষাতুরা বসুন্ধরা দিবসের দাহে। হেনকালে শুনিলাম বাহিরে কোথায় জনশূন্য নদীতটে তপ্ত দ্বিপ্রহরে কৌতুহল জাগি উঠে স্নেহকণ্ঠস্বরে। মহিষ বৃহৎকায় কাদামাখা গায়ে স্নিগ্ধনেত্ৰে নদীতীরে রয়েছে দাড়ায়ে । যুবক নামিয়া জলে ডাকিছে তাহায় স্নান করাবার তরে, “পুঁটুরানী, আয় !” হেরি সে যুবারে— হেরি পুঁটুরানী তারি মিশিল কৌতুকে মোর স্নিগ্ধ সুধাবারি। వరి (ba లిOS হৃদয়ধর্ম হৃদয় পাষাণভেদী নিবারের প্রায়, জড়জন্তু সবাপানে নামিবারে চায় । মাঝে মাঝে ভেদচিহ্ন আছে যত যার সে চাহে করিতে মগ্ন লুপ্ত একাকার । মধ্যদিনে দগ্ধদেহে বাপ দিয়ে নীরে মা বলে সে ডেকে ওঠে স্নিগ্ধ তটিনীরে । যে চাদ ঘরের মাঝে হেসে দেয় উকি সে যেন ঘরেরই মেয়ে শিশু সুধামুখী । যে-সকল তরুলতা রাচি উপবন গৃহপাৰ্থে বাড়িয়াছে, তারা ভাইবোন । যে পশুরে জন্ম হতে আপনার জানি, হৃদয় আপনি তারে ডাকে ‘পুঁটুরানী’ ।