পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতালি এখনি বেদনাভারে ফাটি গিয়া প্ৰাণ উচ্ছসি উঠিবে যেন সেই মহাগান । অবশেষে বুক ফেটে শুধু বলি আসিহে চিরসুন্দর, আমি তোরে ভালোবাসি । vo (De svo S محے বিষশেষ নির্মল প্ৰত্যুষে আজি যত ছিল পাখি বনে বনে শাখে শাখে উঠিয়াছে ডাকি । দোয়েল শ্যামার কণ্ঠে আনন্দ-উচ্ছাস, গেয়ে গেয়ে পাপিয়ার নাহি মিটে আশ । করুণ মিনতিস্বরে অশ্রান্ত কোকিল। অন্তরের আবেদনে ভরিছে নিখিল । কেহ নাচে, কেহ গায়, উড়ে মত্তবৎ, ফিরিয়া পেয়েছে যেন হারানো জগৎ । পাখিরা জানে না কেহ আজি বর্ষশেষ, বকবৃদ্ধ-কাছে নাহি শুনে উপদেশ । যত দিন এ আকাশে এ জীবন আছে বরষের শেষ নাহি তাহদের কাছে । মানুষ আনন্দহীন নিশিদিন ধরি আপনারে ভাগ করে শতখানা করি । లిం b లింు অভয় কারে দেখাইছ বসে অস্তিমের ভয় ? জগৎ উঠেছে হেসে জাগরণসুখে, ভয় শুধু লেগে আছে তব শুষ্ক মুখে । দেবতা রাক্ষস নহে মেলি মৃত্যুগ্রাসপ্ৰবঞ্চনা করি তুমি দেখাইছ ত্ৰাস । বরঞ্চ ঈশ্বরে ভুলি স্বল্প তাহে ক্ষতি— ভয়, ঘোর অবিশ্বাস ঈশ্বরের প্রতি । তিনি নিজে মৃত্যুকথা ভুলায়ে ভুলায়ে রেখেছেন আমাদের সংসারকুলায়ে । তুমি কে কৰ্কশ কণ্ঠ তুলিছ ভয়ের ? আনন্দই উপাসনা আনন্দময়ের । \bo Čbj4 S \bo §