পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अी-झन्नर्व्वत्री অনাবৃষ্টি শুনেছিনু পুরাকালে মানবীর প্রেমে দেবতারা স্বাগ হতে আসিতেন নেমে । সেকাল গিয়েছে । আজি এই বৃষ্টিহীন শুষ্কনদী দগ্ধক্ষেত্র বৈশাখের দিন কাতরে কৃষককন্যা অনুনয়বাণী কহিতেছে বারম্বারা— আয় বৃষ্টি হানি । ব্যাকুল প্ৰত্যাশাভরে গগনের পানে চাহিতেছে থেকে থেকে করুণ নয়নে । তবু বৃষ্টি নাহি নামে ; বাতাস বধির উড়ায়ে সকল মেঘ ছুটেছে অধীর, লেহন করিল। সূর্য । কলিযুগে, হায়, দেবতারা বৃদ্ধ আজি । নারীর মিনতি এখন কেবল খাটে মানবের প্রতি । ২ বৈশাখ ১৩০৩ অজ্ঞাত বিশ্ব অসীম প্রকৃতি ! সরল বিশ্বাসভরে তবু তোরে গৃহ ব’লে মাতা বলে মানি । আজ সন্ধ্যাবেলা তোর নখদন্ত হানি প্ৰচণ্ড পিশাচরূপে ছুটিয়া গৰ্জিয়া, আপনার মাতৃবেশ শূন্যে বিসৰ্জিয়া কুটি কুটি ছিন্ন করি’ বৈশাখের ঝড়ে ধেয়ে এলি ভয়ংকরী ধূলিপক্ষ-’পরে, তৃণসম করিবারে প্রাণ উৎপাটন । সািভয়ে শুধাই আজি, হে মহাভীষণ, অনন্ত আকাশপথ রুধি চারি ধারে কে তুমি সহস্ৰবাহু ঘিরেছ। আমারে ? আমার ক্ষণিক প্ৰাণ কে এনেছে যাচি ? কোথা মোরে যেতে হবে, কেন আমি আছি ? ২ বৈশাখ ১৩০৩ জননী জননী ব’লে ডাকি তোরে ত্ৰাসে, যদি জননীর স্নেহ মনে তোর আসে। শুনি আর্তস্বর । যদি ব্যান্ত্রিনীর মতো অকস্মাৎ ভুলে গিয়ে হিংসা লোভ যত