পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতালি মানবপুত্রেীরে কর মেহের লেহন । নখর লুকায়ে ফেলি পরিপূর্ণ স্তন যদি দাও মুখে তুলি, চিত্রাঙ্কিত বুকে যদি ঘুমাইতে দাও মাথা রাখি সুখে । এমনি দুরাশা ! আছ তুমি লক্ষ কোটি গ্ৰহতারা চন্দ্ৰসূৰ্য গগনে প্ৰকটি হে মহামহিমা ! তুলি তব বজমুঠি তুমি যদি ধর আজি বিকট ভুকুটি, আমি ক্ষীণ ক্ষুদ্রপ্রাণ কোথা পড়ে আছি, মা বলিয়া ভুলাইব তোমারে পিশাচী ! S ČKoja Soovo ভক্তের প্রতি সরল সরস স্নিগ্ধ তরুণ হৃদয়, কী গুণে তোমারে আমি করিয়াছি জয় । তাই ভাবি মনে । উৎফুল্ল উত্তান চোখে চেয়ে আছ মুখপানে প্রীতির আলোকে আমারে উজল করি । তারুণ্য তোমার আপন লাবণ্যখানি লয়ে উপহার পরায় আমার কঠে, সাজায় আমারে আপন মনের মতো দেবতা-আকারে - ভক্তির উন্নত লোকে প্রতিষ্ঠিত করি । সেথায় একাকী আমি সসংকোচে মারি । সেথা নিত্য ধূপে দীপে পূজা-উপচারে অচল আসন-’পরে কে রাখে আমারে ? গেয়ে গেয়ে ফিরি পথে আমি শুধু কবিনহি আমি ধ্রুবতারা, নহি আমি রবি । Q రిRTU S లింలి নদী যাত্রা চলেছে তরণী মোর শান্ত বায়ুভরে । প্ৰভাতের শুভ্ৰ মেঘ দিগন্তশিয়রে । বরষার ভরা নদী তৃপ্ত শিশুপ্রায় নিস্তরঙ্গ পুষ্ট-অঙ্গ নিঃশব্দে ঘুমায় । আলস্যমন্থর যেন পূর্ণগর্ভ ধরা । আজি সর্ব জলস্থল কেন এত স্থির ? নদীতে না হেরি তরী, জনশূন্য তীর । পরিপূর্ণ ধরা-মাঝে বসিয়া একাকী চিরপুরাতন মৃত্যু আজি স্নান-আঁখি