পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ধীরে ধীরে নিবে গেল শেষ দীপশিখা, খসে গেল যামিনীর স্বপ্নযাবনিকা । প্ৰবেশিল বাতায়নে পরিতাপসম রক্ত রশ্মি প্ৰভাতের আঘাত নির্মম । সেইক্ষণে গৃহদ্বারে সত্বর সঘন আমাদের সর্বশেষ বিদায়-চুম্বন । - মুহুর্তে উঠিল বাজি চারি দিক হতে কমের ঘর্ঘরমন্দ্ৰ সংসারের পথে । মহারাবে সিংহদ্বার খুলে বিশ্বপুরে— অশ্রুজিল মুছে ফেলি চলি গেনু দূরে । So sac Swoos) যাত্রী ওরে যাত্রী, যেতে হবে বহুদূরদেশে । কিসের করিস চিন্তা বসি পথশেষে ? কোন দুঃখে কাদে প্ৰাণ ? কার পানে চাহি বসে বসে দিন কাটে শুধু গান গাহি শুধু মুগ্ধনেত্ৰ মেলি ? কার কথা শুনে মরিস জ্বলিয়া মিছে মনের আগুনে ? কোথায় রহিবে পডি এ তোর সংসার ! কোথায় পশিবে সেন্থা কলরব তার ! মিলাইবে যুগ যুগ স্বপনের মতো, কোথা রবে। আজিকার কুশাঙ্কুরক্ষত ! নীরবে জ্বলিবে তব পথের দু ধারে গ্ৰহতারকার দীপা কাতারে কাতারে । তখনো চলেছ এক অনন্ত ভুবনে— কোথা হতে কোথা গেছ না রহিবে মনে । SS Jeae Swoovo তৃণ হে বন্ধু, প্ৰসন্ন হও, দূর করো ক্ৰোধ । তোমাদের সাথে মোর বৃথা এ বিরোধ । আমি চলিবারে চাই যেই পথ বাহি সেথা কারো তরে কিছু স্থানাভাব নাহি । সপ্তলোক সেই পথে চলে পাশে পাশে তবু তার অন্ত নাই মহান আকাশে । তোমার ঐশ্বৰ্যরাশি গৃহভিত্তিমাঝে ব্ৰহ্মাণ্ডেরে তুচ্ছ করি দীপ্তগর্বে সাজে । তারে সেই বিশ্বপথে করিলে বাহির মুহুর্তে সে হবে ক্ষুদ্র মান নতশির