পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gikbar রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী শক্তের ক্ষমা নারদ কহিল আসি, হে ধারণী দেবী, তব নিন্দা করে নির তব অন্ন সেবি । বলে মাটি, বলে ধূলি, বলে জড় স্থূল, তোমারে মলিন বলে অকৃতজ্ঞকুল । বন্ধ করো অন্নজল, মুখ হােক চুন, ধূলামাটি কী জিনিস বাছারা বুঝুন । ধারণী কহিলা হাসি, বালাই, বালাই ! ওরা কি আমার তুল্য, শোধ লব তাই ? ওদের নিন্দায় মোর লাগিবে না দাগ, ওরা যে মরিবে। যদি আমি করি রাগ । প্ৰকারভেদ বাবলা শাখারে বলে আম্রশাখা, ভাই, উনানে পুড়িয়া তুমি কেন হও ছাই ? হায় হায়, সখী, তব ভাগ্য কী কঠোর ! বাবলার শাখা বলে, দুঃখ নাহি মোর । বাচিয়া সফল তুমি, ওগো চুতলতা, নিজেরে করিয়া ভস্ম মোর সফলতা । (२८० ভাবে শিশু, বড়ো হলে শুধু যাবে কেনা বাজার উজাড় করি সমস্ত খেলেন । বড়ো হলে খেলা যত ঢেলা বলি মানে, দুই হাত তুলে চায় ধনজন-পানে । আরো বড়ো হবে না কি যাবে অবহেলে ধরার খেলার হাট হেসে যাবে ফেলে ? এক-তরফা হিসাব সাতাশা, হলে না কেন একশো সাতাশ, থলিটি ভরিত, হাড়ে লাগিত বাতাস । সাতাশ কহিল, তাহে টাকা হত মেলা, কিন্তু কী করিতে বাপু বয়সের বেলা ? অল্প জানা ও বেশি জানা তুষিত গর্দভ গেল সরোবরতীরে, “ছিছি। কালো জল !” বলি চলি এল ফিরে ।