পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qv § রবীন্দ্র-রচনাবলী भाछ यूगल भूgप्ला (नव । ধান ভানলে কুঁড়ো দেব ৷ কালো গোরুর দুধ দেব। দুধ খাবার বাটি দেব ৷ চাদের কপালে চাদ টী দিয়ে যা ৷ এ কোন চাঁদ ! নিতান্তই বাঙালির ঘরের চাদ। এ আমাদের বাল্যসমাজের সর্বজ্যেষ্ঠ সাধারণ মাতুল চাদা। এ আমাদের গ্রামের কুটিরের নিকটে বায়ু আন্দােলিত বাশবনের রন্ধগুলির ভিতর দিয়া পরিচিত স্নেহহাস্যমুখে প্রাঙ্গণধূলি-বিলুষ্ঠিত উলঙ্গ শিশুর খেলা দেখিয়া থাকে ; ইহার সঙ্গে আমাদের গ্রামসম্পর্ক আছে। নতুবা, এতবড়ো লোকটা যিনি সপ্তবিংশতি নক্ষত্ৰসুন্দরীর অন্তঃপুরে বর্ষ যাপন করিয়া থাকেন, যিনি সমস্ত সুরলোকের সুধারস আপনার অক্ষয় রৌপ্যপাত্রে রাত্রিদিন রক্ষা করিয়া আসিতেছেন, সেই শশলাঞ্ছন হিমাংশুমালীকে মাছের মুড়ো, ধানের কুঁড়ো, কালো গোরুর দুধ খাবার বাটির প্রলোভন দেখাইতে কে সাহস করিত ? আমরা হইলে বােধ করি পারিজাতের মধু, রজনীগন্ধার সৌরভ, বউ-কথা-কওয়ের গান, মিলনের হাসি, হৃদয়ের আশা, নয়নের স্বপ্ন, নববধূর লজ্জা প্রভৃতি বিবিধ অপূর্ব জাতীয় দুর্লভ পদার্থের ফর্দ করিয়া বসিতাম— অথচ চাঁদ তখনাে যেখানে ছিল এখনাে সেইখানেই থাকিত । কিন্তু ছড়ার চাদকে ছড়ার লোকেরা মিথ্যা প্রলোভন দিতে সাহস করিত না, খোকার কপালোটী দিয়া যাইবার জন্য নামিয়া আসা চাদের পক্ষে যে একেবারেই অসম্ভব তাহা তাহারা মনে করিত না। এমন ঘোরতর বিশ্বাসহীন সন্দিগ্ধ নাস্তিকপ্রকৃতি তাহারা ছিল না। সুতরাং ভাণ্ডারে যাহা মজুত আছে, তহবিলে যাহা কুলাইয়া উঠে, কবিত্বের উৎসাহে তাহা অপেক্ষা অত্যন্ত অধিক কিছু স্বীকার করিয়া বসিতে পারিত না। আমাদের বাংলাদেশের চান্দামামা বাংলাদেশের সহস্ৰ কুটির হইতে সুকণ্ঠের সহস্ৰ নিমন্ত্রণ প্রাপ্ত হইয়া চুপিচুপি হাস্যকরিত ; হাঁও বলিত না, নাও বলিত না ; এমন ভােব দেখাইত যেন কোনদিন, কাহাকেও কিছু সংবাদ না দিয়া, পূর্বদিগন্তে যাত্রারম্ভ করিবার সময় অমনি পথের মধ্যে কৌতুকপ্রফুল্প পরিপূর্ণ হাস্যমুখখানি লইয়া ঘরের কানাচে আসিয়া দাড়াইবে। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, এই ছড়াগুলিকে একটি আস্ত জগতের ভাঙা টুকরা বলিয়া বােধ হয়। উহাদের মধ্যে বিচিত্র বিস্মৃত সুখদুঃখ শতধাবিক্ষিপ্ত হইয়া রহিয়াছে। যেমন পুরাতন পৃথিবীর প্রাচীন সমুদ্রতীরে কর্দমতটের উপর বিলুপ্তবংশ সেকালের পাখিদের পদচিহ্ন পড়িয়াছিল— অবশেষে কালক্রমে কঠিন চাপে সেই কৰ্দম পদচিহ্নরেখা-সমেত পাথর হইয়া গিয়াছে- সে চিহ্ন আপনি পড়িয়ছিল এবং আপনি রহিয়া গেছে, কেহ খোন্ত দিয়া খুদে নাই, কেহ বিশেষ যত্নে তুলিয়া রাখে। নাই- তেমনি এই ছড়াগুলির মধ্যে অনেক দিনের অনেক হাসিকান্না। আপনি অঙ্কিত হইয়াছে, ভাঙাচোরা ছন্দগুলির মধ্যে অনেক হৃদয়বেদনা সহজেই সংলগ্ন হইয়া রহিয়াছে। কত কালের এক টুকরা মানুষের মন কালসমুদ্রে ভাসিতে ভাসিতে এই বহুদূরবর্তী বর্তমানের তীরে আসিয়া উৎক্ষিপ্ত হইয়াছে ; আমাদের মনের কাছে সংলগ্ন হইবামাত্র তাহার সমস্ত বিস্মৃত বেদন জীবনের উত্তাপে ললিত হইয়া আবার অশ্রদ্ধরসে সজীব হইয়া উঠিতেছে। ও পারেতে কালো রঙ । বৃষ্টি পড়ে ঝম ঝম ৷ এ পারেতে লঙ্কা গাছটি রাঙা টুকটুক করে। গুণবতী ভাই আমার মন কেমন করে ৷ “এ মাসটা থাক দিদি কেঁদে ককিয়ে ও মাসেতে নিয়ে যাব পালকি সাজিয়ে।' शए श्ल उाओं-उाओं, भान श्ल प्रgि । আয় রে আয় নদীর জলে ঝাপ দিয়ে পড়ি ৷