পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bアの8 রবীন্দ্র-রচনাবলী মরিব মরিব মা গো হব আত্মঘাতী । আপনার গলে দিব নরসিংহ কাতি ৷ অবশেষে অন্য উপায় না দেখিয়া দুৰ্গা ধূপদীপনৈবেদ্য লইয়া ধানে বসিলেন। ধ্যানে পেলেন মহাদেবের চরণ দুখান । তখন ব্যাপারটা বুঝা গেল, দেবতার কৌতুকের পরিসমাপ্তি হইল। কোথা বা কন্যা, কোথা বা জামাতা । সকলই দেখি যেন আপন দেবতা ৷ এ যেন ঠিক স্বপ্নের মতো হইল। নিমেষের মধ্যে— দুৰ্গা গেলেন কৈলাসে, শিব গেলেন শ্মশানে । ভাঙি ধুতুরা বেঁটে দুর্গ বসলেন আসনে । - সন্ধ্যা হলে দুইজনে হলেন একখানে ৷ এইখানে চতুর্থ ছত্রের অপেক্ষা না রাখিয়াই ছাড়া শেষ হইয়া গেল। রাধাকৃষ্ণ-সম্বন্ধীয় ছড়াগুলির জাতি স্বতন্ত্র। সেখানে বাস্তবিকতার কােঠা পার হইয়া মানসিকতার মধ্যে উত্তীর্ণ হইতে হয় । প্রাতাহিক ঘটনা, সাংসারিক ব্যাপার, সামাজিক রহস্য সেখানে স্থান পায় না । সেই অপরূপ রাখালের রাজ্য বাঙালি ছড়া-রচয়িতা ও শ্রোতাদের মানসরাজ) । স্থানে স্বানে ফেরেন রাখাল সঙ্গে কেহ নাই । ভাণ্ডীবনে (ধনু চরান সুবল কানাই ৷ সবল বলিছে শুন ভাই রে কানাই । আজি তোরে ভাণ্ডীবনবিহারী সাজাই ৷ * গঙ্গাইবার প্রস্তব মাত্ৰ শুনিয়া নিকুঞ্জে যেখানে যত ফুল ছিল সকলেই আগ্রহে ব্যাকুল হইয়া কদম্বের পূষ্প বলেন ১ ভা-বিদ্যমানে সাজিয়া দুলিৰ আজি গাবিন্দের কানে ৷ করবীর পুষ্প বলেন, আমার মর্ম কে বা জানে— আজ আমায় রাখবেন হরি চূড়ার সাজনে ৷ অলক ফুলের কনকদম বেলফুলের গাথনি— আমার হৃদয়ে শ্যাম দুলাবে চূড়ামণি ৷ আনন্দেতে পদ্ম বলেন, তোমরা নানা ফুল আমায় দেখিলে হবে চিত্ত ব্যাকুল ৷ চরণতলে থাকি আমি কমল পদ্ম নাম রাধাকৃষ্ণে একাসনে হেরিব বয়ন ॥ কোনাে ফুলকেই নিরাশ হইতে হইল না, সেদিন তাহাদের ফুটিয়া ওঠা সার্থক হইল। সুবল সাজাইলি ভালো । ফুলেরই পাগ ফুলেরই পোশাক সেজেছে বিহারীলাল ৷ নানা আভরণ ফুলেরই ভূষণ চূড়াতে করবী ফুল । কপালে কিরীটি অতি পরিপটি